প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় ৫ সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও শারিরীকভাবে আঘাত করা হয়েছে। কোথাও লাঞ্চিত করা হয়েছে। আবার কোথাও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (০৮ আগস্ট) কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ডাকা কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনকালে এসব হামলা ও লাঞ্চনার শিকার হন তারা। সব অভিযোগই সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীতে হামলা ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টিভির ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম খোকন,ক্যামেরাপার্সন মেরাজ হোসেন, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহার উদ্দিন রায়হান, প্রাচীন সংবাদপত্র আমোদ'র অফিস রিপোর্টার মোহাম্মদ শরীফ ও কুমিল্লার কাগজের ক্যামেরাপার্সন মো.সজিব।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক বাহার উদ্দিন রায়হান বলেন, কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন্স এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। সরকার দলীয় সমর্থকরা অবস্থান নিলে আমি তাদের ভিডিও করছিলাম। এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন ভৌমিক আমার দিকে তেড়ে আসেন। তিনি আমার হাতের ভিডিও করার মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান। এসময় আমাকে বলেন, তোরা বেডা দেশটা শেষ করে দিবি। পরে আমি হাত থেকে মোবাইলটি নিয়ে চলে আসি।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টিভির ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, শিক্ষার্থীদের মিছিল আসার আগেই পুলিশ লাইন্স এলাকায় অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা সেখানে উপস্থিত ছাত্রদের ওপর হামলা করে। আমার ক্যামেরাপার্সন মেরাজ হোসেন পাশে দাঁড়ানো ছিল। তার হাতে থাকা ক্যামেরা ঘুরাতেই কয়েকজন লাঠি হাতে এগিয়ে আসে এবং ক্যামের নিয়ে যেতে চায়। এসময় তারা মেরাজকে ধাক্কা দেয়। তখন আমি গিয়ে ক্যামেরা হাতে নিতেই তারা আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে ব্যাথা পাই।
এবিষয়ে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক বলেন, আহত সহকর্মীদের দেখতে এসেছি। কুমিল্লায় এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত। সাংবাদিকদের সাথে কারো অপেশাদার আচরণ কুমিল্লা প্রেসক্লাব চায়না। এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কুমিল্লা প্রেসক্লাব এঘটনায় উদ্বিগ্ন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।