কুমিল্লায় ৯৩প্রার্থীর মধ্যে ৭৬জনের জামানত বাজেয়াপ্ত

 

জাপা ও অন্যদলের জামানত বাজেয়াপ্ত

তৈয়বুর রহমান সোহেল।।

কুমিল্লায় জাতীয় পার্টি (জাপা) ও অন্যদলের প্রার্থীসহ মোট ৭৬জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনে কুমিল্লার ১১টি আসন থেকে অংশগ্রহণ করেন ৯৩জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ১৬ প্রার্থী জামানত হারাননি। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র বাদে জাতীয় পার্টিসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দলের সব প্রার্থীর জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তাশিটগুলো বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।

বার্তাশিট থেকে দেখা যায়, কুমিল্লায় এবার ২১টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ওই ২১টি দল থেকে প্রার্থী হন ৭৩জন। স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করেন ২০জন। আওয়ামী লীগ থেকে ১১ জন, জাতীয় পার্টি থেকে ১১জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে সাতজন,  ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পাঁচজন; তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও গণফ্রন্ট থেকে চারজন করে; গণফোরাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে তিনজন করে; বিএনএফ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাসদ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে দুইজন করে; ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দালন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে একজন করে প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।

২০জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১০জন। তাদের মধ্যে চারজন বিজয়ী হয়েছেন। চারজন জামানত হারিয়েছেন। একজন নির্দিষ্ট ভোটের দশমিক শূন্য দুইগুণ ভোট কম পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান কুমিল্লা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে ২৩ হাজার ৬৭৩ ভোট পান। সেখানে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৮৮ হাজার ৮১৫। নাঈম বৈধ ভোটের প্রায় সাত দশমিক ৯৮ ভাগ ভোট পান। জামানত থাকতে হলে বৈধ ভোটের আট ভাগ ভোট পাওয়ার নিয়ম রয়েছে। কুমিল্লা-৫ আসনে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৯। ওই আসনের আলোচিত প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি পেয়েছেন মাত্র ছয় হাজার ৯৮০ ভোট।