কুমিল্লার তিতাসে নির্বাচনী অফিস মাদ্রাসা ও বসতঘর ভাংচুর

 

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আশরাফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার গোপালপুর গ্রামে। এঘটনায় উভয় গ্রুপের গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। কয়েকটি বসত ঘরসহ নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়েছে। তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর পাড় থেকে দুটি দেশীয় পাইপ গান উদ্ধার করেছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। তাদেও মধ্যে ৯জনকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেন অলিউল্লাহ(২৮), স্বপন মিয়া(২৬), রনি মিয়া(২৫), সোহাগ হোসেন(২৩),আরমান(১৬)ও মনু মিয়া(৩৫),আলম(২৭),মাসুূূদ(২২), ইয়ার খান(৪৫),রহিম(২০)।
তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মৃত্তিকা অথৈ বলেন, মারামারি ঘটনার ১২ জন আহত চিকিৎসার জন্য আসেন। এদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করেছি।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাজী আলী আশরাফ বলেন, সোমবার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কর্মী সমর্থকরা গোপালপুর গ্রামে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল খায়েরের লোকজন আমার লোকজনের উপর হামলা করে। প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি চালিত অটো রিক্সা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে পানিতে ফেলে দেয়। পরে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সহযোগিতায় আমার লোকজন নিরাপদে চলে আসে। পরে কে বা কারা মারামারি করেছে আমি তা বলতে পারবো না।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল খায়ের বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আশরাফের লোকজন কয়েকটি মটর সাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে আমার নিজ গ্রাম গোপালপুরে এসে আমার নির্বাচনী অফিস, মাদ্রাসা এবং কয়েকটি বসতঘর ভাংচুর করে। এসময় আমার কয়েকজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। গোপালপুর গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ির পুকুর পাড় থেকে দুটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করি। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।