কুমিল্লার দক্ষিণে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, বাড়ছে পানি

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার দক্ষিণের তিনটি উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যার দুর্ভোগের মাঝে আবার পানি বেড়েছে। বাড়ছে রোগ ব্যাধি।


শনিবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ও দক্ষিণ মুদাফরগঞ্জ। এছাড়া মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পানি বেড়েছে। সেইসঙ্গে নাঙ্গলকোট উপজেলার নিন্মাঞ্চল জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নেও পানি বাড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,১৬ আগস্ট দক্ষিণ কুমিল্লায় বন্যা কবলিত হয়। সেটি ৫১দিন ধরে বহাল রয়েছে। লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন অংশে খালবিল ও নদী দখল হয়ে গেছে। এতে পূর্বের বন্যার পানি কিছু কমেছে। বন্যার পূর্বের পানির সঙ্গে বৃষ্টির পানি যোগ হয়েছে।
লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের মনপাল গ্রামের অহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি খুব ধীরে নামছিল। হঠাৎ তিনদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি। পানি এখন আবার বেড়েছে। শুকিয়ে যাওয়া সড়কে আবার চার ইঞ্চি পানির নিচে চলে গেছে। এভাবে পানি বাড়লে আবার বন্যা হয়ে যাবে।
মনোহরগঞ্জের বাঁইশগাঁও ইউনিয়নের বাঁইশগাঁও গ্রামের সুমন পাটোয়ারী বলেন, বন্যার পানি এমনিতেই নামছিল না। এর মাঝে নতুন করে বৃষ্টি হচ্ছে। পানি গতকাল রাত থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে যদি দু,তিনদিন চলে আবার বন্যা হতে পারে।

নাঙ্গলকোটের জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের মানিকমুড়া গ্রামের বাসিন্দা আলী আশরাফ মজুমদার বলেন, পানির রাস্তা ছুঁই ছুঁই। অনেক এলাকায় বাড়িতে পানি ঢুকে শুরু হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে বন্যা হতে পারে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা বলেন, টানা তিন দিন ধরে মনোহরগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। পূর্বের পানি ও বৃষ্টির প্রভাবে আবারো পানি বাড়ছে। এ পানিতে কোন স্রোত নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর পাচ্ছি পানি কমছে না। বেশি বৃষ্টি হলে বন্যার সংখ্যা রয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। স্থানীয় নাগরিকরা বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর, বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ করে পানির স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মনোহরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও আমি নিজে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ বাঁধ ভেঙে দিয়েছি। পানির স্বাভাবিক চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করেছি। এরপরেও আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা চেয়েছি।