কুমিল্লার মাঠে ভাইরাস ও রোগ প্রতিরোধী টমেটো

প্রতিনিধি।।
বারি, কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ উবায়দুল্লাহ কায়ছার বলেন, বাংলাদেশ দানাদার ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবজি ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পিছনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফল, সবজির মধ্যে বারি টমেটো-১৭ উল্লেখযোগ্য একটি জাত। এ জাতটি দেখতে হাইব্রিড টমেটোর মত। ফলনও হাইব্রিডের চেয়ে বেশি। কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন করে চাষ করা যায়। বিশেষ করে ভাইরাস ও বিভিন্ন রোগ সহনশীল হওয়ায় এজাতটি চাষ করে কৃষকরা বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারেন। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নাওতলায় কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বারি উদ্ভাবিত টমেটোর বিস্তার ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষে এবং এলাকার কৃষকদের অবহিত করার উদ্দেশ্যে ২৮ফেব্রুয়ারি এ দিবসের আয়োজন করা হয়। মাঠ দিবসে সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মিঞা মোঃ বশীরের সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বারি, কুমিল্লার সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারী মোঃ ছাদেকুর রহমান, মোঃ মাহাবুবুর রহমান ও উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ জানে আলম প্রমুখ।

এদিকে কৃষকের বাণিজ্যিক কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লার সরেজমিন গবেষণা বিভাগ চান্দিনা উপজেলার নাওতলার কৃষক মোঃ সফিক মিয়া ও মোঃ দুলাল মিয়ার জমিতে বারি টমেটো -১৭ এর প্রদর্শনী হিসেবে চাষ করা হয়।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এ জাতটি আকারে বড় হওয়ায় অন্যান্য জাতের চেয়ে ফলনের পরিমাণ বেশি। হেক্টরপ্রতি ফলন ৭০-৭৫ টন। প্রতিটি টমেটোর ওজন ১৮০-১৯০ গ্রাম হয়ে থাকে। হাইব্রিড টমেটো চাষ করে বীজ উপাদন করা যায় না। তাই প্রতি বছর অতিরিক্ত টাকা খরচ করে হাইব্রিড টমেটোর বীজ ক্রয় করতে হয়। বারি টমেটো-১৭ চাষ বাস্তবায়ন হলে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে আসবে।