মহিউদ্দিন মোল্লা।।

কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের মাঠে সৌর বিদ্যুতের সেচ উৎসব চলছে। বিদ্যুত ঘাটতির এই সময়ে সৌর বিদ্যুতের সেচ পাম্প কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিদ্যুত,তেল, ডিজেল ছাড়া সূর্যের আলো দিয়ে পাম্পে পানি তোলা হচ্ছে। গ্রামের অনেক কৃষকের নিকট এটা বি¯¥য়কর। সদর দক্ষিণ উপজেলার নলকুড়ি মাঠে এই রকম একটি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে। সেই পাম্পটি দেখতে প্রতিদিনই কৃষকরা ভিড় জমাচ্ছেন।

নলকুড়ি মাঠে গিয়ে দেখা যায়,মাঠের মাঝে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। তার পাশে চলছে সেচ পাম্প। গরগর শব্দে উঠছে পানি। পাম্পের পানি ছড়িয়ে পড়ছে পাশের ১৫ একর জমিতে। এই সব জমিতে আগে খাল ও পুকুরের স্বল্প পানি ব্যবহার করা হতো। তাও সব সময় পাওয়া যেতো না। অনেকে পানি সংকটে জমি পতিত ফেলে রাখতেন। এখন নিরবিচ্ছিন্ন পানি পেয়ে খুশি কৃষকরা। তাদের আশা এই মাঠে এবার ভালো ফসল হবে।

নলকুড়ি মাঠে সৌর বিদ্যুতের সেচ পাম্প বসিয়েছেন স্থানীয় তরুণ উদ্যোক্তা আকিবুল ইসলাম মজুমদার। তিনি জানান, ৬মাস আগে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ভুর্তকী দিয়ে এই পাম্প বসিয়ে দিয়েছে। তিনি প্রথমে ৫০ হাজার টাকার মতো দিয়েছেন। আরো সাড়ে তিন লাখ টাকা ১০বছরে কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। তিনি মাস তিনি পাম্পটি সেচ কাজে ব্যবহার করবেন। বাকী সময় গ্রামে বিদ্যুত বিক্রি বা পল্লী বিদ্যুতের কাছে বিদ্যুত বিক্রি করতে পারবেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, সৌর বিদ্যুত পরিবেশ বান্ধব। এই সেচ পাম্পের পানি দিয়ে ১৫ একর জমি চাষ করা হচ্ছে। এই সব জমির অধিকাংশ পানি সংকটে পতিত থাকতো। এবার নিরবিচ্ছিন্ন সেচের কারণে ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবাশীষ সিকদার বলেন,এখানে সরকার প্রতিটি পাম্পে ১০লাখ টাকা ভুর্তকী দিচ্ছে। পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২এর ২৫টি সেচ পাম্প বসানোর টার্গেট রয়েছে। এ সংখ্যা সামনে আরো বাড়বে।

সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। সৌর বিদ্যুত ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হবে না। কৃষকের ব্যয় অনেক কমে আসবে। এই পাম্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ফসল উৎপাদন বাড়বে বলেও আশা করছি।