অফিস রিপোর্ট
কুমিল্লা নগরীর পুরাতন চৌধুরী পাড়া। এই এলাকার তারা মসজিদের দোতলা ফাঁকা পড়ে আছে। সেখানে চলছে তরুণদের মানবিক উৎসব। কেউ বস্তায় মুড়ি,কেউ চিড়া.কেউ গুড় ভরছেন। এরকম ১৫শ’র বেশি বস্তা প্রস্তুত করা হচ্ছে। বুধবার রাতে তারা যাত্রা করবেন বন্যা কবলিত সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে। বৃহস্পতিবার সেগুলো বিতরণ করা হবে। কুমিল্লার সাত শতাধিক শিক্ষার্থী এই উৎসবের যোগান দিয়েছেন। তাদের হাত খরচের টাকা থেকে এই সব সামগ্রী ক্রয় করা হয়।
শিক্ষার্থীদের খাবারের বস্তা প্রস্তুত কার্যক্রমে গিয়ে দেখা যায়,অয়ন মজুমদার,সাফওয়ান ভুইয়া,ফাহিম আহমেদসহ কয়েকজন শুকনো খাবার বস্তায় ভরছেন। সাথে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ওষুধ। তারা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। সকাল থেকে এই কাজ শুরু করেছে। ক্লান্তি তাদের ছুঁতে পারেনি। তারা দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াত পারছেন এই ভেবে সবার চোখে মুখে খুশির আমেজ।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অয়ন মজুমদার জানান,তারা ২০১৫ সালে কার্যক্রম শুরু করেন। সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ইয়ং স্টার সোস্যাল অর্গানাইজেশন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হাসিবুর রহমান তানভীর। তিনি বর্তমানে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। কুমিল্লা জেলায় সংগঠনের সাত শতাধিক সদস্য রয়েছে। দেশের ২৪টি জেলায়ও তাদের শাখা রয়েছে। সেখানে রয়েছে সাড়ে তিন হাজার সদস্য। নিজেদের হাতখরচ দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পাশাপাশি শিক্ষক ও সমাজের বিশিষ্টজনরা সংগঠনের উপদেষ্টা। তারাও সহযোগিতা করেন।
কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু নাইম বলেন,শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিজের হাত খরচের টাকায় মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণদের এই ধরণের কাজে উৎসাহিত করা গেলে সমাজে মানবিক মানুষের সংখ্যা বাড়বে।
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকীন রাব্বী বলেন, এই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। শিক্ষার্থীদের এই সব উদ্যোগ আশাবাদী করে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com