আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লার সাবেক সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ ও তার স্ত্রীর নরুন নাহার লোটাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার মামলাটি দায়ের করেন দুদক কুমিল্লার সহকারি পরিচালক পাপন কুমার সাহা।
অভিযুক্তরা হলেন, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার এলাচিপুর এলাকার পারেশ আলী মিয়ার ছেলে শাহজাহান আহমেদ (৫৮) ও তার স্ত্রী খন্দকার নরুন নাহার লোটাস (৫২)। শাহজাহান আহমেদ বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর বর্তমান সিনিয়র জেল সুপার।
দুদক সূত্রে জানা গেছে এই কর্মকর্তা, ১৯৮৭ সালে বস্ত্র অধিদফতরের ড্রাফটসম্যান পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে ডেপুটি জেলার পদে আত্মীকৃত হন। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সিনিয়র জেল সুপার পদে কর্মরত আছেন। তার চাকরি করাকালীন সময়ে বৈধ সম্পদের চেয়ে দুই কোটি একুশ লাখ সাত হাজার ২৯৫ টাকার অতিরিক্ত সম্পত্তি দুদকের নজরে আসে। তা অনুসন্ধ্যান করে দুদক। এর মধ্যে জেল সুপার শাহাজাহান ও তার স্ত্রী খন্দকার নূরুন নাহার লোটাসের নামে রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও, বাড্ডা ও গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে, ফ্ল্যাট, প্লট ও বিভিন্ন সম্পদ খুঁজে পেয়েছে দুদক। যার কোন হিসেব দিতে পারেননি তারা।
দুদক কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, তার সকল সম্পদের হিসেব দিতে পারেনি ওই কর্মকর্তা। তিনি অবৈধভাবে এই সম্পদ আয় করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। যেকারণে তার বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার নথি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাশিমপুর কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, শাহাজাহান ২০২০ সালের নভেম্বরে কুমিল্লা কারাগারে যোগ দেন। বন্দি নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয়। এ ছাড়া বন্দি নির্যাতনের কয়েকটি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ানি পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com