আমোদ রিপোর্টার
পাঁচ সন্তান প্রসবকারী মা শারমিন আক্তার সিট না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে তার শারিরীক জটিলতা বেড়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন স্বজনরা। বুধবার এই তথ্য জানান তার স্বামী মিজানুর রহমান।
[caption id="attachment_1154" align="aligncenter" width="1015"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সূত্র জানায়, ১২আগস্ট জেলার লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার ছাড়া পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মিজানুর রহমানের স্ত্রী শারমিন আক্তার। এর মধ্যে তিনজন ছেলে ও দুইজন মেয়ে। তাদের কুমিল্লা নগরীর একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। পথে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা যায়। অপর তিনজনকে কুমিল্লার একটি হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শয্যা না পেয়ে ধানমন্ডির উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেন জেনারেল হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। সেখানে রোববার রাতে মারা যান এক ছেলে। পরে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন। বর্তমানে দুই শিশু ওই হাসপাতালের ইনকিউবেটরে আছে।
[caption id="attachment_1148" align="aligncenter" width="1546"] বিজ্ঞাপন[/caption]
লাকসাম জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ লতিফা আক্তার বলেন, ওই প্রসূতি সাত মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তিনি স্বাভাবিকভাবে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। ওদের ওজন কম ছিল। মা ও বাচ্চাগুলোকে উন্নত পরিবেশে ইনকিউবেটরে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পৌলাইয়া গ্রামের বাসিন্দা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চান্দিশকরা নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, তার দুই সন্তানের অবস্থা অপরিবর্তিত। তার স্ত্রী এখনও অসুস্থ। সিট পাননি। ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একটা কেবিন পেলে তাদের সুবিধা হয়। এদিকে চিকিৎসার ব্যয় মিটাতে মিজানুর রহমান গণমাধ্যমে বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তিনি কিছু সহযোগিতা পেয়েছেন। এজন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com