কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পরিবহন থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। জেলার কোতয়ালী, বুড়িচং, বরুড়া, দেবিদ্বার, লাকসাম, মুরাদনগর, বি পাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ৩২৫টি রশিদ ও নগদ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেন(৩২), কাজি মোঃ আল মামুন(২৮), মোঃ টিপু সুলতান(২৮), আসাদুল(২২), দেবিদ্বার উপজেলার মোঃ মবিন(২১), মোঃ মফিজুল ইসলাম(২৮), মোঃ ইব্রাহিম খলিল(২৫), মোঃ আরমান(১৯), মোঃ ইব্রাহিম হোসেন(৩০), মোঃ শহিদুল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন(২৭), বরুড়া উপজেলার শাহজাহান(৪৪), মোঃ সোহেল হোসেন(৩২), মোঃ মহিন উদ্দিন(৩২), আবুল কালাম আজাদ(৩২), সদর দক্ষিণ উপজেলার মোঃ সবুজ(১৯), বুড়িচং উপজেলার মোঃ রাকিব হোসেন(২৩), মোঃ মুমুনুর রশিদ(৩২), মোঃ ওহিদ মিয়া(৫০), মোঃ রুবেল(৩২), মোঃ জালাল হোসেন(৩১), মোঃ নূর উদ্দিন(৩২), মোঃ শফিকুল ইসলাম রুবেল(২৫), মোঃ জাহিদ(২৬), মোঃ মোস্তফা(৩২), মোঃ শরীফ(৩১), মোঃ ফারুক(২৮), মুরাদনগর উপজেলার মোঃ শাহ আলম(২৬)।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় অটো রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা , মিশুক, ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছিল। এসব পরিবহন চাঁদাবাজরা সরকার নির্ধারিত স্ট্যান্ড ব্যতীত অননুমোদিত স্থান হতে এবং উপজেলা ইজারাকৃত জায়গায় নির্ধারিত টাকার পরিমাণের চাইতে বেশি টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিবহন চালকরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসব চাঁদাবাজরা চালকদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। কোন কোন ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে আঘাত করে চাঁদা আদায় করে যা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বর্তমান সময়ে এসব চাঁদাবাজদের এমন কর্মকান্ডে সাধারণ জনগণ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ক্যাম্পে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপজেলা এবং থানা হতে ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে মৌখিক এবং লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা অভিযোগের দায় স্বীকার করেছে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।