।। অফিস রিপোর্টার।।
আবহাওয়া সহিষ্ণু ধান, পাটসহ সব ধরনের সবজির নতুন বীজ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। এখন থেকে কৃষকরা সারা বছরই মাঠে ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। ধানের পাশাপাশি তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা গবেষণা চালাচ্ছি। নিশ্চয়ই কৃষক ও দেশের জন্য এমন অর্জন ইতিবাচক। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বিনার উদ্ভাবিত বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা বিনা উপকেন্দ্রে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রান্তিক কৃষকদের উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন।
ড. মির্জা মোফাজ্জল বলেন, অতিবৃদ্ধ, অনাবৃষ্টি, বন্যা খরা এগুলো মোকাবেলা করা দেশের কৃষকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চাইলে আবহাওয়ার এমন রূপ বন্ধ রাখতে পারবো না। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফসল উৎপাদন করা যায় ঠিক তেমন বীজ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি, বন্যা খরায় যেন ফসলগুলো টিকে থাকতে তেমন বীজ উৎপাদন করেছি। এতে করে বছরজুড়ে কৃষকরা আমন, সরিষা তারপর শাক উৎপাদন ও বোরো ধান উৎপাদন করতে পারবে। এতে ফসলের মাঠ খালি থাকবে না। কৃষকরাও বছরজুড়ে ফসল উৎপাদন করতে পারবে।
কুমিল্লায় আগে আমন ও বোরো ফসলের পর জমি খালি পড়ে থাকতো। জমি যেন খালি পড়ে না থাকে সে জন্য এখন আমরা স্বল্প মেয়াদী বিনা ধান ৭ , বিনা ধান ১১, বিনা ধান ১৬, বিনা ধান ১৭, বিনা ধান ২০, বিনা ধান ২২ ও বিনা ধান ২৩ মাঠে দিয়েছি। উল্লেখিত ধান বীজ থেকে সর্বনিম্ন ১ শ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১১০ দিনে ফসল ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা। এছাড়াও বিনার নতুন উদ্ভাবিত সরিষা এখন স্যাঁতস্যাঁতে পানিতে জন্মে এবং ফসলও ভালো হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অর্পিতা সেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com