আমোদ প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা নগরীতে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রী নিহত দম্পতির মেয়ে ভালো নেই। কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আঁখি আক্তারের(১৬) বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি। ভাগিনা সিএনজি অটো রিকশার চালক রাকিবুল ইসলাম(২০) চালক রাকিবুল ইসলাম আশংকামুক্ত। তিনি কিছু কথা বলছেন।

নিহত ফরিদ মুন্সীর ভাই পল্লী চিকিৎসক আবু তাহের মুন্সী বলেন, ভাই ও ভাবীকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাফন করেছি। আঁখি ও রাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। অ্যাম্বুলেন্স চালক কমিশনের জন্য তাদের ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এক রাতে সেখানে এক লাখ টাকা বিল নিয়েছে। হাওলাত করে টাকার যোগান দেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। মেয়েটির অবস্থা ভালো নয়। মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন,জ্ঞান ফিরলে অপারেশন করা যাবে। এতে আড়াই লাখ টাকা খরচ পড়বে। এত টাকা কোথায় পাবো জানি না। ভাগিনার অবস্থা একটু ভালো।

উল্লেখ্য-জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ফরিদ মুন্সী (৬৫) চিকিৎসার জন্য বুধবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। শাসনগাছা রেলক্রসিংয়ে তাদের বহন করা সিএনজি অটো রিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম(৪৮) নিহত হন।