কুমিল্লায় বারি সরিষা-১৭ উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লার আয়োজনের আয়োজনে মাঠ দিবস পালিত হয়। আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লাকে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে উন্নীতকরণ প্রকল্পে এ আয়োজন করা হয়।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর বারি তেল বীজ গবেষণা কেন্দ্র পরিচালক রীনা রানী সাহা। সভাপতিত্ত্ব করেন কুমিল্লা বারি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর বারি তেল বীজ গবেষণা কেন্দ্র তেল বীজ গবেষণা কেন্দ্র, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মো. মোবারক আলী। কুমিল্লা বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাবিবুর রহমান তুহিন। কুমিল্লা বারি সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হায়দার হোসেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ড. মো. মুক্তার হোসেন ভুইয়া, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা; ড. মো. আইউব হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা; কৃষিবিদ মহিবুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা; কৃষিবিদ তাহেরা তাসমীমা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা। সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ শামীমা সুলতানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, কুমিল্লা।
প্রসঙ্গত, স্থাস্থ্য বান্ধব তেল জাতীয় খাবারের মধ্যে সরিষার তেল অন্যতম। বাংলাদেশের মাটিতে খুব সহজেই সরিষা উৎপাদন করা যায়। কৃষক পর্যায়ে সরিষা আবাদের ফলে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। সরিষা থেকে তেল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ শিল্প, সরিষা খেতের ফুল থেকে মৌ চাষীদের মধু উৎপাদন, সরিষার খৈল দিয়ে গবাদী পশুর উৎকৃষ্টমানের খাবার তৈরী, খৈল থেকে তৈরী করা যায় কুইক কম্পোষ্ট। এ সার জমির মাটির জন্য উৎকৃষ্ট জৈব সার, জ¦ালানী হিসেবে সরিষার শুকনো গাছ ব্যবহার করে দেশের সামাজিক বনায়ন রক্ষা করা যায়। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে- শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খাবারের সাথে পরিমানমত তেল খেতে হবে। পরিমানমত তেল না খেলে মানব দেহে বিভিন্ন রোগ বিশেষ করে চর্ম রোগ হতে পারে। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমান সরিষা উৎপাদিত হলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com