কুমিল্লায় মহাসড়কের আট স্থানে আবর্জনার স্তুপ

 

অফিস রিপোর্টার।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে আট স্থানে আবর্জনার স্তুপ দিন দিন বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে মহাসড়কের সৌন্দর্য। আবর্জনার তীব্র দুর্গন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীসহ ওই এলাকার মানুষ। পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠছে। এবিষয়ে সাময়িক পদক্ষেপ নেয়া হলেও সেখানে কয়েকদিন পর পুনরায় আবর্জনার স্তূপ বাড়তে থাকে।

সূত্র জানায়,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালতলী এলাকায়, চান্দিনা উপজেলা পালকি সিনেমা হল এলাকায়,বাস স্টেশন এলাকায়, বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায়,সদর দক্ষিণ উপজেলার পল্লী বিদ্যুত অফিসের নিকট,সুয়াগাজী বাজারের সড়ক দ্বীপে, চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় ও মিয়া বাজার এলাকার সড়ক দ্বীপে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। মিয়া বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন বলেন,যেখানে মানুষ আছে। সেখানে আবর্জনা হবেই। প্রশাসন বাজার ইজারা দিলেও আবর্জনা ফেলার স্থানের ব্যবস্থা করেনি। মানুষ কোথায় ময়লা ফেলবে?
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চৌদ্দগ্রামের চৌদ্দগ্রাম বাজার,মিয়া বাজার, সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী বাজারের আবর্জনার তীব্র দুর্গন্ধে যাতায়াতকারীরা নাক চেপে পথ পাড়ি হচ্ছেন। কোথাও রাস্তার পাশে আগুন লাগিয়ে আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলার কারণে মরে গেছে শতাধিক গাছ।

বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এস এম মিজান জানান, আমরা মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা বন্ধের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময় সচেতনতামূলক পথসভা করেছি। কোথাও মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা কমেছে,কোথাও অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনকে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান করে দিতে হবে। পৌরসভা ও বাজারের ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে হবে। মহাসড়কে আবর্জনার বিষয়ে ব্যবসায়ী,জনগণ ও প্রশাসন সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন,সুয়াগাজী বাজারের সড়ক দ্বীপে আবর্জনা ফেলা নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার সড়ক বিভাগের সাথে কথা হয়েছে। যাতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। আশা করছি তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, মহাসড়ক জাতীয় সম্পদ। এর সৌন্দর্য রক্ষায় সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন। মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলতে বাজার কমিটি ও পৌরসভাকে বিভিন্ন সময়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। কিছু স্থানে সড়ক দ্বীপে কাঁটা তারের বেড়া দেয়া হয়েছে। আমরা এই বিষয়ে ভবিষ্যতে আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে মহাসড়ক আবর্জনা মুক্ত হবে।