আল-আমিন কিবরিয়া |
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আক্তারুজ্জামান সরকার, সদস্য সচিব এ.এফ.এম তারেক মুন্সি ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এ তিন জ্যেষ্ঠ নেতাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে কুমিল্লার হোমনা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপিসহ সহযোগী পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ও তাদের অনুসারীরা।

দেখা যায়, হোমনা চৌরাস্তা সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে প্রায় দশ সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি হোমনা বাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় হোমনা চৌরাস্তায় এসে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা হয়। এ সময় উত্তর জেলা বিএনপি' আহবায়ক আক্তারুজ্জামান ও তারেক মুন্সির ছবিতে ছবি সম্বলিত কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

হোমনা উপজেলা ও পৌরসভার সদ্য কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, হোমনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জহিরুল হক জহর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ সাব মিয়া, মো. শজাহান মোল্লা, মো.শাহ আলম, মো.নুরুজ্জামান মিন্টু, আবু নাছের ওয়াহেদ সম্পদ, গাজী মহসিন ও মো. আলমগীর সরকার।

বক্তব্যকালে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মরহুম এমকে আনোয়ারের হাতে গড়া হোমনা উপজেলার সুশৃঙ্খল বিএনপিকে ভাঙ্গার জন্য এবং আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পায়তারা চলছে।
গত ২৫ অক্টোবর হোমনার আমাদের সাথে আলোচনা না করে রাতে টাকার বিনিময়ে হোমনা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির অবৈধ কমিটি অনুমোদন দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার ও সদস্য সচিব এ.এফ.এম তারেক মুন্সি। যা গত ১৭ বছর যারা নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার এবং একাধিক মামলার আসামি হয়ে কারা ভোগসহ হামলার শিকার হয়েছে এমন ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নিষ্ক্রিয়, অচেনা ও অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে কমিটি অনুমোদন দেয়।
এটির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। তিনি সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই মেঘনা উপজেলা বিএনপিকে খন্ড খন্ড করেছে এখন হোমনা উপজেলা বিএনপিকেও খন্ড খন্ড করার জন্য পায়তারা করছে।

এখন আমাদের একটা দাবি অবিলম্বে কুমিল্লা উত্তর জেলা মেয়াদ উত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি করাসহ সদ্য ঘোষিত হোমনা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে নতুন কমিটি ঘোষণা করতে হবে। তা-না হলে হোমনার মাটিতে কোনো অবৈধ কমিটির স্থান হবে না।