প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা জিলা অন্তত ৫০জন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
[caption id="attachment_33189" align="aligncenter" width="591"] হামলা শেষে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন ছাত্রলীগ নেতারা।[/caption]
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুয়েট, ঢাকা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা মিলে জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সোহেলের নেতৃত্বে তাদের ধাওয়া দিয়ে জিলা স্কুল ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ঢোকানো হয়। এরপর এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নির্যাতন চালায়। তারা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ চালায়। তাদের নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় বুয়েট, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আলাদা করা হয়। বেশি আঘাত করা হয় বুয়েট ছাত্রদের ওপর।
তারা জানান, হামলার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এরপর দুইজন দুইজন করে আন্দোলনকারীদের স্কুল থেকে বের করে দেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুবিধার্থে হেল্প ডেস্ক করেছিলাম। আমরা সে কাজেই ব্যস্ত ছিলাম।
জিলা স্কুলে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন কারা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি জানি না।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এর মধ্যেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com