অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ২৫ বছর পর গঠন করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর পদপ্রাপ্ত নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দনে ভাসছেন। অন্যদিকে বঞ্চিতদের সমর্থকরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। তারা বলছেন-কমিটিতে হত্যা মামলার আসামিকে স্থান দেয়া হয়েছে। যারা মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় নয় তাদের পদ দেয়া হয়েছে। বঞ্চিত করা হয়েছে মাঠের পরিশ্রমী নেতাদের। ৪১ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. কামরুল হাসান শাহীনকে। যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে লাকসাম পৌরসভার মেয়র মো. আবুল খায়ের ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিমকে।
শনিবার রাতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির অনুমোদন দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এতে বলা হয়, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সব শাখার সম্মেলন শেষ করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সম্মেলন করতে হবে।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন,শাহজালাল মজুমদার, সুমির বড়ুয়া তপু, আবদুল মোতালেব, আবদুল কাদের, সোহেল সামাদ, আবাদ উদ্দিন বঙ্গবাসী, ইসরাক মাহমুদ মাসুদ, আলা উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ সাহিদুল ইসলাম টিপু, মাহবুবুর রহমান, জিয়াউর রহমান খান, মোশারফ হোসেন মজুমদার, আবদুল আলিম, মাহবুবুল হক মোল্লা বাবলু, আবুল কালাম আজাদ, বক্তার হোসেন, মাসুদ আলম, নজরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, আশিকুর রহমান ভূঁইয়া জুয়েল, গাজী মো. মনির হোসেন, আলাউদ্দিন আহমেদ রিপন, ওমর ফারুক, আল মাহমুদ ভূঁইয়া, জালাল উদ্দিন, ফোরকান আহাম্মদ সবুজ, মহসিন আলম খান, শাহ আলম, ইমতিয়াজ হাবিব সিনহা, সফিউল আলম সুমন, আশিকুর রহমান হাওলাদার হিরণ, গোলাম কিবরিয়া, জাহিদুল হাসান পলাশ, এয়ার আহাম্মদ সেলিম, আবদুল করিম মিয়াজী, রাসেদুর ইসলাম আশরাফ, নাজমুল হক ও অপু ভট্টাচার্য।
কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক জি এস আতিকুর রহমান খান পিন্টু বলেন, এই কমিটিতে মাঠের পরিশ্রমী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। নিষ্কৃয় অনেককে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থান দেয়া হয়েছে হত্যা মামলার আসামি আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিমকে। তাদের দিয়ে সামনের দিনে প্রতিপক্ষের আন্দোলন কতটুকু মোকাবেলা করা যাবে তা এখন দেখার বিষয়।
কোতয়ালী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী রিয়াজ মাহমুদ বলেন, গ্রুপের রাজনীতির কারণে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। কোন পেশাকে ছোট করছি না। কমিটিতে মাঠের কর্মী নেই। সেন্টারিং মিস্ত্রি,তরকারি বিক্রেতা ও রাজমিস্ত্রিদের স্থান দেয়া হয়েছে। তাদের ১০জন কর্মীও নেই।
এবিষয়ে আবদুস ছোবহান খন্দকার সেলিম বলেন,এটা পলিটিক্যাল মামলা। এনিয়ে ষড়যন্ত্র করে তারা কিছু করতে পারবে না।
উল্লেখ্য-১৯৯৭ সালে ৬৭ সদস্যের ৩ বছর মেয়াদের দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে শাহীনুল ইসলাম শাহীনকে সভাপতি ও মঞ্জুর মোর্শেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০১২ সালের ১৭ জুন ওই কমিটি ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com