কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কে লাল কাপড়
অফিস রিপোর্টার।।
খানা-খন্দে বেহাল কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। বর্ষার বৃষ্টিতে সড়কে বেড়েছে সড়কের গর্ত। এতে আটকে যায় যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়ছেন কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলার যাত্রীরা। কিছু গর্তে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। গর্তে পথচারীরা লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছে।
যাত্রী ও পরিবহন চালকদের সূত্র জানায়, প্রায় চার বছর ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফোরলেনের কাজ চলছে। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে সময় নষ্ট, যানজট আর গাড়ি বিকল হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা। ভোগান্তিতে বিরক্ত যাত্রীরা। সড়কের খারাপ অবস্থা বাগমারা বাজারের দক্ষিণে ফতেপুর,বাগমারা স্কুল সংলগ্ন সৈয়দপুর রাস্তার মাথা, বিজয়পুর,ফয়েজগঞ্জ ও হরিশ্চর অংশে। বেশি খারাপ অবস্থা লাকসামের চন্দনা বাজার অংশ, ভাটিয়াভিটা ও লালমাইয়ের ফয়েজগঞ্জে। চন্দনা অংশে বড় গর্ত হয়ে গেছে। সেখানে প্রায়ই যানবাহন আটকে যাচ্ছে। ছোট যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। ভাটিয়াভিটায় ফোরলেনের কাজ চলছে। সেখানে পানি জমে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। কিছু গর্তে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। গর্তে পথচারীরা লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছে। ফয়েজগঞ্জে সড়কের দুই পাশে ব্রিকফিল্ডের ইট রাখায় পানি সরতে পারছে না। পানি জমে সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বৃষ্টির সময় সড়কটি পানিতে ডুবে যায়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
বাগমারার মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় গর্ত হয়ে গেছে। সেখানে প্রায়ই যানবাহন আটকে যাচ্ছে। ছোট যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। সাময়িক ভাবে হলেও গর্ত গুলো ভরাট করা প্রয়োজন।
উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক অধ্যাপক কবির আহমেদ জানান,সড়কটি খারাপ হওয়ায় খুব প্রয়োজন না হলে কেউ এই সড়কে যাতায়াত করতে চান না। সড়ক ভাঙা হওয়ায় ঘন ঘন গাড়ি বিকল হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কুমিল্লা মোটর এসোসিয়েশনের (বাস মালিক সমিতি) সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন দরে বেহাল। এটির সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। এতে চালক,যাত্রী সবার দুর্ভোগ কমবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজা-ই- রাব্বি বলেন, ফোরলেনের কাজ চলমান রয়েছে। কোথাও পানি জমে গর্তে হয়ে গেছে। গর্তে খোয়া ফেলে যান চলাচলের ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।