মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চারটি ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একই ভার্চুয়্যাল অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যলয়ের ট্রেজারার-উপাচার্যের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতির সূত্রপাত। এরপর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের পদোন্নতি বাতিল, গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহের অভিযোগে একই বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও পরীক্ষার খাতা হারানোয় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে গণিত বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
সূত্রমতে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। ২০জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তারা একে অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন। উপাচার্য বলেন, ‘আমি অনেক কষ্ট করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিলে তিলে দেশের কাছে পরিচিত করেছি। আপনাদের এই সম্পদ আপনাদেরই রক্ষা করতে হবে। কারণ লোভী মানুষ কোথাও গেলে সে সবকিছু তছনছ করে ফেলে। ’
উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'আপনার জন্য সবজি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ঢাকায় যেতে হয়। প্রতিনিয়ত আপনি আমাকে অপমান করছেন, অপদস্থ করছেন। ’
এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও মেধা তালিকায় একজনের নাম আসার তথ্য গণমাধ্যমকে জানানোর অভিযোগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সিন্ডিকেট।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়ে পরবর্তীতে তা স্থগিত করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের বলেন, যে প্রক্রিয়ায় আবেদন করা লাগে সে প্রক্রিয়ায় আবেদনটা হয়নি, এটা ধরা পড়ায় সিন্ডিকেট সভায় উনার পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, আমার সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতির জন্য আবেদন প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রেজিস্ট্রার দফতরে পৌঁছানো হয়। আমি বোর্ড ফেস করেছি। বোর্ডের পর সিন্ডিকেটে আমাকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কুবি উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, তার পদোন্নতি বাতিল করা হয়নি। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তই তো এখনও লেখা হয় নাই। এটা লেখা হবে, সিন্ডিকেট মেম্বাররা দেখবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আতিকুর রহমান পরীক্ষার উত্তরপত্র হারিয়ে ফেলার অভিযোগে শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com