প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম খান এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে নগরীর অশোকতলা এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেনিস গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ নাছির খান মুন্না।
তিনি সাংবাদিককের বলেন, শাহ আলম খান সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়। পরাজয়ের কারণ হিসেবে নাছির উদ্দিন খান মুন্নাকে দায়ী করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম খানের নেতৃত্বে কোরবান আলী, শেখ সাদী, আলাউদ্দিন, কামাল, জাহাঙ্গীরসহ ৩০/৪০ জনের একটি দল অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এসময় তার বৃদ্ধ মা, ছোট ভাই মোহন এবং তার স্ত্রী, বাচ্চাসহ সকলকে জিম্মি করে রাখে। হামলার বিষয়টি তিনি এলাকাবাসীকে ফোন করে জানালে এলাকাবাসী পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করতে আসে। এসময় হামলাকারীরা তার ছোট ভাই মোহন ও মালেক সর্দারকে পিটিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আশোকতলা গ্রামের ৩ শতাধিক মানুষ প্রতিবাদ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাউজ ডেভোলেপার ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ, নারী নেত্রী ফাহমিদা জেবিন, যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান খান পিন্টু প্রমুখ।
মুন্না আরো জানান,নির্বাচনে তার এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে তা দিতে তার ছোট ভাই মোহনকে হুমকি দেয় শাহ আলম খান। এছাড়াও এলাকার ফারুক আহম্মেদ খানকে মারধর ও ইজাজ আহমেদ খানকে হুমকি দেয় শাহআলম খান। এ ঘটনায় উভয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম খান জানান, তারা একটা চক্র। গত দুই নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে সফল হয়নি। ৩য় নির্বাচনে সফল হয়েছে। তারা আমাদের ওপর হামলা করে উল্টো অভিযোগ করছে। তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা হামলা করিনি। এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com