কৃষক ফরিদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর গ্রামের কৃষক মো.ফরিদ মিয়া (৫৫) হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন হলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি আসামিরা। বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিবাদ করায় ওই কৃষককে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পিটিয়ে ও মারধর করে হত্যা করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগম।
সোমবার এতবারপুর গ্রামের বাড়িতে ওই কৃষকের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এতে নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগম, মেয়ে নার্গিস আক্তার, নাসরিন আক্তার, রুবি আক্তার, ভাই মিজানুর রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্য ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে কোহিনুর বেগম বলেন, তাদের পাশের বাড়ির রুহুল আমিনের ছেলে হাবিব উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে আসছিল। হত্যাকাণ্ডের দিন তার দেবর মিজানুর রহমানকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে দেয় হাবিব। মিজান ঘটনাটি জানাতে রুহুল আমিনের কাছে গেলে তার ছেলেরা মিজানকে মারধর করে। চাচাকে মারছে এ খবর শুনে আমার দুই মেয়ে সেখানে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। স্বামী ফরিদ মিয়া কৃষিকাজ থেকে এসে ভাগ্নে নূরে আলমকে নিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে রুহুল আমিন, তার ছেলে হাবিব উল্লাহ, হাবিবুর রহমান, আলাউদ্দিন জুয়েল তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করে। তারা পিটিয়ে নূরে আলমেরও মাথা ফাটিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, হত্যার ১৫ দিন হলেও এখন পর্যন্ত একজন আসামিকেও ধরতে পারেনি পুলিশ। তারা আসামিদের ধরার চেষ্টাও করছে না। তারা হুমকি দিয়ে বলছে, মামলা তুলে না নিলে আমাদেরও একই পরিণতি হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, চান্দিনা থানার এসআই নোমান হোসেন বলেন, আমরা তদন্তে কোন অবহেলা করছি না। আসামিরা সকলে পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।