কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ মামলায় ৪০ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আন্ওয়ারুল আজিম ।
আন্ওয়ারুল আজিম বলেন, পবিত্র কোরআন অবমাননা ও প্রতিমা ভাঙচুুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মোট চারটি মামলা দায়ের করে। অপর মামলা করেন র্যাবের ডিআইজি। পাঁচটি মামলার মধ্যে একটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, দুইটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফয়েজ আহমেদ নামের একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ঘটনার দিন ফয়েজ তার মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। তাকে বৃহস্পতিবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলার একটিতে ১৭ জন ও অপর আরেকটি মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার র্যাব-১১ এর অভিযানে এক যুবককে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতার যুবকের নাম গোলাম মাওলা। তার বাড়ি বুড়িচং উপজেলায়।
র্যাব জানায়, গোলাম মাওলা গত বুধবার দিনভর ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ছবি একসাথে করে এডিট করে। পরে সেগুলো ফেসবুকে শেয়ার করে। গ্রেফতারের পর শুক্রবার রাতে তাকে কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে গোলাম মাওলাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তাকেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। মামলার বাদী র্যাবের ডিআইজি।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট একযোগে কাজ করছে। অভিযান চলছে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, বুধবারের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দিবেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com