প্রতিনিধি।।
ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেননি বলে দাবি করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) সাবেক উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের। শুক্রবার (২৩ মে) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন। পোস্টে ৩ আগস্ট তিনি ঢাকা চলে যাওয়ার দাবি করেন। যদিও আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে ৬২৬ জন আশ্রয় নেন। এর মধ্যে ২৬জন আশ্রয় নেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। তালিকার ৫০ থেকে ৭৫ নম্বর নামগুলো কুমিল্লা সেনানিবাসের। ওই তালিকায় ৫৫ নম্বরে রয়েছে এ এফ এম আবদুল মঈনের নাম।
তার ফেসবুক পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
ভুয়া প্রচারণা সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা: প্রত্যাশিতভাবেই, একটি চক্র আবারও আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এইবার তারা আইএসপিআরের নাম ব্যবহার করে দাবি করছে যে, ৫ আগস্টের পর আত্মরক্ষার জন্য যারা ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিল, আমি নাকি তাদের একজন! এটি সম্পূর্ণ হাস্যকর, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, আমি ৩ আগস্ট রাত পর্যন্ত ভাইস চ্যান্সেলরের বাংলোয় অবস্থান করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা সকলকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে সম্পৃক্ত ছিলাম। ৩ আগস্ট রাতে আমি ঢাকায় যাই এবং এরপর কুমিল্লায় আর ফেরত যাইনি।
আমার গাড়িচালক এবং সহকারী কর্মী আমার সাথেই ঢাকায় যায় এবং গাড়িটি ঢাকার অফিসে রাখা হয়। আমি ঢাকায় যাওয়ার পর সেই গাড়ি আর ব্যবহারই করিনি।
এই চক্রটির কেউ কেউ আবার এ-ও দাবি করছে যে, আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দেওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রকল্প থেকে অর্থ আয় করেছি। যে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করে আমি ২০২২ সালের মে মাসে নির্মাণকাজ শুরু করি এবং প্রকল্পের ৬৫% কাজ শেষ করে আসি। এ ছাড়া তারা অভিযোগ করছে, আমি শিক্ষক নিয়োগ থেকেও অর্থ গ্রহণ করেছি।
আমি তাদেরকে বলছি এই নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং প্রমাণ করুন আমি কখন, কোথায়, কত টাকা নিয়েছি।
আর যে সকল শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের জিজ্ঞেস করুন কে আমাকে কত টাকা দিয়েছে?
আপনাদের যদি উদ্দেশ্য হয় কাউকে খুশি করে কিছু (অর্থ, নিয়োগ) পাওয়ার আশায় মিথ্যা রটানো, তাহলে সেখানে আমার কিছু বলার নাই । কিন্তু যদি এই ধরনের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে আমি আপনাদের অনুরোধ করব,মিথ্যা অপবাদ, মানহানিকর প্রচারণা থেকে বিরত থাকুন এবং প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজে গঠনমূলক অবদান রাখুন।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাবেক উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, আইএসপিআর থেকে করা তালিকায় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০জন পুলিশ কনস্টেবলের নাম রয়েছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com