আমোদ প্রতিবেদক।।
গাঁজা খাওয়ার কথা বলে মামাতো বোনের প্রেমিককে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। গামছা দিয়ে বেঁধে জবাই করা হয়। গতকাল আসামি দুলাল মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানায়। সে হোমনা উপজেলার সাপলেজি উত্তরপাড়া মোঃ বেদন মিয়ার ছেলে।
সূত্র জানায়,গত ১৬ জুন হোমনা উপজেলার সাফলেজি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলা থেকে ফয়সাল হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে শামীম (২৩) নামের একজন। শামীম জানায়, খুনের ঘটনার সাথে প্রধান সহযোগী ছিলো তার আপন মামাতো ভাই দুলাল মিয়া। শামীমের বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানিয়েছে সে। শামীম জানায় ফয়সাল হত্যাকান্ড তার অন্যতম সহযোগী ছিলো তার মামাতো ভাই দুলাল।
গতকাল শনিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দুলাল মিয়াকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। দুলাল আদালতে স্বীকার করে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ফয়সালকে গাঁজা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে আনে। পরে শামীম ও ফয়সাল মিলে গামছা দিয়ে ফয়সালকে বেঁধে ফেলে। পরে জবাই করে। ওই এলাকার আমিরুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় মাটি চাপা দেয়।
কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ জানান, গোপন সংবাদে জানতে পেরে ফয়সাল হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি দুলাল মিয়াকে তার বাড়ি থেকে আটক করি। পরে দুলাল মিয়া আদালতে হত্যাকান্ড জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com