প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড়ইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামবাসীকে ডাকাত দল এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার পথে যারা ধাওয়া করেছেন তারা রামদা, ছুরির কোপে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বড়ইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামের ১১ জন নারী-পুরুষ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এতথ্য জানান গ্রামবাসী।
আহতরা হলেন- ওই গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির মো. শাহ আলম (৭০) তার স্ত্রী জয়নব বেগম (৬২), ছেলে আনিছুর রহমান (৩০), একই বাড়ির মৃত মজিবুর রহমান এর ছেলে আবদুর রহমান (৩১), মো. লোকমান হোসেনের ছেলে সোলায়মান (২৮), মৃত ছিফাত উল্লাহ্র ছেলে রবিউল্লাহ্ (৪৫), মৃত আবদুল মান্নান এর ছেলে জসিম উদ্দিন প্রধান (৪৫), মৃত আমিন উদ্দিন প্রধানের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রধান (৬৫), মৃত মজিবুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা (৩৮), রশিদ প্রধানের ছেলে ওসমান গনি (৩৫), সেলিম প্রধানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনিছুর রহমানকে গৌরীপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে চিকিৎসকরা।
ক্ষতিগ্রস্থ মো. শাহ আলম প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার (১৪ জুন) রাত আনুমানিক আড়াইটায় বিল্ডিং করা বাড়ির পেছন দিক থেকে জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ডাকাতদল। ২০-২৫ জনের শর্ট প্যান্ট পরিহিত ও মুখোশধারী ডাকাতদল তাদের পরিবারের সদস্যদের এলোপাতারি কুপিয়ে যখম করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে নগদ ৪ হাজার টাকা, ১টি মোবাইল, স্বর্ণের কানের দুল ও আংটি লুট করে।
এসময় পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন টের পেয়ে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থদের চিৎকারে গ্রামের অন্যান্য লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করে। এছাড়া কয়েকজন রাস্তায় ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করলে তাদের সবাইকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
ওই গ্রামের শাহাদাতসহ এলাকাবাসী বলেন- আমরা কখনো এমন বর্বর ঘটনা দেখিনি। এলাকাবাসী ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং ডাকাতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন- খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।