প্রতিনিধি।।
রাতে পরিবারের সঙ্গে ঘুমান মনির হোসেন ও বাবুল মিয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজার সামনে দেখেন কাপনের কাপড়। সঙ্গে আছে গোলাপজল, আগরবাতি ও দাফনের অন্যান্য জিনিসপত্র। এর সঙ্গে একটি চিরকুট। চিরকুটে লেখা, 'আসমানী পায়সালা যেকোনো সময়।'
ঘটনাটি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

প্রবাসী ইউনুস মিয়ার ছেলে মনির হোসন শনিবার বলেন, ঈদের দিন রাতে ভাত খেয়ে মা বাবাসহ পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দরজার সামনে যান। দরজার সামনে কাপড় আর দাফনের জিনিসপত্র দেখে মা হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বেহুশ হয়ে যান। পরে আমরা উঠে এসে দেখি এগুলো পড়ে আছে। সাথে একটা চিরকুটও আছে। থানায় জিডি করার পর পুলিশ এসে দেখে গেছেন। আমরা খুব আতঙ্কে আছি।
ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা সোহেল আমিন বলেন, আমাদের গ্রামের এই প্রথম এমন ঘটনা। ঘটনার অনেক দিন কেটে গেলেও এখনও গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছে। গ্রামের মনির ছাড়াও গ্রামের অপর প্রান্তের আরেক যুবকের বাড়িতে একই রাতে এসব জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। তার নাম বাবুল মিয়া। ঘটনার পর থেকে মনির ও বাবুলের পরিবার খুবই আতঙ্কে আছে। গ্রামের মানুষও আতঙ্কে আছে। আমরা সামনে এমন ঘটনা দেখতে চাইনা।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, এবিষয়ে থানায় একাধিক অভিযোগ এসেছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি।