অফিস রিপোর্টার।।
২২ বছর ধরে সংস্কার নেই সড়কটির। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদর থেকে জগতপুর-সাদকপুর হয়ে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ পর্যন্ত এই সড়কের অবস্থান। এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। এতে ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। চাঁদা চাওয়ায় ঠিকাদাররা সড়কটি সংস্কার করতে চায়না বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চালাচল করে। উপজেলা সদরের সাথে জগতপুর, সাদকপুর, শ্যামপুর, মালাপাড়া, আসাদনগর গ্রামের একমাত্র চলাচলের সড়কটি বর্তমানে খানখন্দে ভরে আছে।
পুরো রাস্তা জুড়ে ভাঙা এবং গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তগুলো জলাবদ্ধ হয়ে যায়। গর্তে যানবাহন পড়ে ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসী জানান, রাস্তাটি প্রথম পাকা করা হয় ২২ বছর আগে। ১৬ বছর পরে রাস্তাটি নতুন করে সংস্কারের জন্য ২০১৬ সালে কাজ শুরু করে। বুড়িচং উত্তরপাড়া এলাকা থেকে জগতপুর পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ করা হয়।
সাদকপুরের শুরু থেকে শ্যামপুর গোমতী নদীর বাঁধ পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ রয়েছে রাস্তার কাজে চাঁদা চাওয়ায় ঠিকাদার কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে যায়।
৫নং পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন জাহের বলেন, রাস্তার কাজে বাধা সৃষ্টি করে চাঁদা চাওয়ায় ঠিকাদার এই রোডের কাজ নিতে চায় না। রাস্তাটি নতুন করে টেন্ডার করা হয়েছে। আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী অনুপ কুমার বড়ুয়া বলেন, এই রাস্তার কাজে চাঁদা চাওয়ায় এর আগের ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছে। এখন আবার নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বিল পাস হলে কাজ শুরু হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com