চাকরিচ্যুত করায় মামাতো ভাইয়ের ৮৮ ভরি স্বর্ণ লুট!
আমোদ রিপোর্টার।।
চাকরিচ্যুত করায় মামাতো ভাইয়ের ৮৮ ভরি স্বর্ণ লুট করার অভিযোগে ফুফাতো ভাইসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌর এলাকার সাহাপাড়া এলাকা থেকে রাজিব কর্মকারকে ও চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানাস্থ বাগানবাড়ি এলাকা থেকে তপু কর্মকারকে আটক করা হয়। বুধবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দি থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী অংশের পুটিয়া নামক স্থানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। দাউদকান্দি থানার মোবাইল টিম ঐ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার নাম অভিজিৎ কুড়ি। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার সত্য নরোত্তমপুরের রঞ্জিত কুড়ির ছেলে। স্থানীয় নারায়ণ জুয়েলার্সের কর্মচারী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় নোয়াখালী থেকে গহনা তৈরির জন্য ৮৮ ভরি ০৫ আনা পাকা গলানো স্বর্ণ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী নামক স্থান আসলে ডিবির পরিচয় দিয়ে পাঁচজন লোক তাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। পথে তাকে মারধর করে স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়। তাকে দাউদকান্দির পুটিয়া এলাকায় ফেলে দেয়।
তার দেয়া তথ্যমতে, দাউদকান্দি মডেল থানার পৌরসভাস্থ সাহাপাড়া থেকে রাজিব কর্মকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাজিব কর্মকার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায়, ফুফাতো ভাই দেব রাজ তার সত্য নারায়ণ জুয়েলার্স থেকে রাজীব কর্মকারকে অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তপু কর্মকার ও পলাতক অভি কর্মকারসহ পাঁচজনকে নিয়ে এই ডাকাতির পরিকল্পনা করে।
রাজিব পুলিশকে জানায়, চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানাস্থ বাগানবাড়ি এলাকায় তপু কর্মকারের কাছে লুন্ঠিত স্বর্ণগুলো রয়েছে। পরে ঐ এলাকায় তপু কর্মকারকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ৮৮ ভরি পাঁচ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা এম তানভীর আহমেদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।