আমোদ প্রতিনিধি
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা কাভার্ডভ্যান ভর্তি ঝুঁকিপূর্ণ শতাধিক সিলিন্ডারে করে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) পাম্প। উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর বাজার এলাকায় অবৈধ ওই পাম্পে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও গাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করে। একটি খালি জায়গার উপরে ত্রিপল টানিয়ে মেশিন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রিতে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি সাড়ে পাঁচ টাকা নেয়া হচ্ছে। এতে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণসহ বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ওই ভ্রাম্যমাণ গ্যাস পাম্পে গিয়ে দেখা যায়- দুইটি কাভার্ডভ্যানে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রতিটি কাভার্ডভ্যানে অন্তত একশ’ গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। ওই কাভার্ডভ্যানের গ্যাস সিলিন্ডারের সাথে সিরিজ সংযোগ দিয়ে কন্ট্রোল মেশিনের মাধ্যমে সারি-সারি সিএনজি অটোরিক্সায় গ্যাস সরবরাহ করছে এক যুবক। গ্যাস সরবরাহ করে প্রতি
ঘনমিটার ৫০ টাকা মূল্যে টাকা নিচ্ছে ওই যুবক। দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগ সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন অবৈধ ওই ভ্রাম্যমান ওই গ্যাস পাম্পটি পরিচালনা করছেন। মহাসড়ক সংলগ্ন কয়েকটি গ্যাস পাম্পের সাথে চুক্তি করে ওই গ্যাস আনা হয়। এমন ঘটনা শুধু নবাবপুরেই নয়,
কুমিল্লার বরুড়া,চৌদ্দগ্রামসহ কয়েকটি স্থানেও ঘটছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ব্যক্তি জানান- যে পাম্প থেকে কাভার্ডভ্যানে করে গ্যাস আনা হয় ওইসব পাম্পগুলোতে মিটার ও রেগুলেটর মেশিনের বাইরে লাইন টেম্পারিং করে বিশেষ কৌশলে কাভার্ডভ্যানে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। যা মূল মিটারের হিসাবে আসে না। তা থেকে সরকার সম্পূর্ণ ভাবে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। পাম্পের মালিকের গিয়াস উদ্দিন জানান- পাম্পটি আমার, এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জিএম(ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. আবুল বাশার বলেন, কাভার্ডভ্যান যোগে সিএনজি গ্যাস বিক্রি অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করবো।
এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ জানান- এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।