আমোদ ডেস্ক।।
কুমিল্লার চান্দিনায় ১২ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. ইউসুফ সোহাগের (৪০) বিরুদ্ধে। বুধবার তাকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
ইউসুফ পাশের দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জামে মসজিদের ঈমাম এবং চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডে দারুল ইহসান তাহফিজুল কোরআন কওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মোহতামিম।
মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা জানান- গত ২০১৯ সালে চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডের ওই মাদ্রাসায় আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। গত ১৩ অক্টোবর জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা লিটন সরকারকে বিষয়টি জানাই। তিনি মঙ্গলবার রাতেই ওই শিক্ষকসহ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেন।
ওই ছাত্রী জানান, মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত অবস্থায় গত এক মাস পূর্বে ইউসুফ হুজুর জোর পূর্বক আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। আমি বিষয়টি আমার অভিভাবককে জানাইতে চাইলে তিনি আমাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে তিনি সুযোগ পেলেই আমার সাথে খারাপ কাজ করতো। মঙ্গলবার আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- ওই মাদ্রাসা শিক্ষকসহ মেয়েটিকে থানায় এনেছি। বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com