মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা নগরীতে চারতলা ভবনের সমান পেঁপে গাছ দেখা গেছে। নগরীর কাপ্তান বাজার হাজী মসজিদের গলিতে আশরাফ কুটিরের সামনে এই গাছ দেখা যায়। গাছটি সাত বছর ধরে ফল দিচ্ছে। গাছটি মালিকের চারতলা ভবনের সাথে প্রতিযোগিতা করছে! গাছটি দেখতে বাসার সামনে প্রায় আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আশরাফ কুটিরের তত্ত্বাবধায়ক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাড়ির মালিক প্রবাসী। তিনি বেসরকারি ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। এই বাসায় নিজে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। এর সাথে বাসার দেখভাল করেন। বাজার থেকে কেনা পেঁপে খাওয়ার পর বাসার সামনে বীজ ফেলেন। সেই বীজের গাছ এটি। গাছটি সাত বছর ধরে ফল দিচ্ছে। তিনতলার জানালা দিয়ে গাছ থেকে পেঁপে সংগ্রহ করতে হয়। এখন গাছটি চারতলা ছুঁইছুঁই করছে। গাছের উচ্চতা ৪০ ফুটের মতো হবে।
কৃষি বিভাগের সূত্র জানায়, কাঁচা পেঁপে বদহজম, কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকের ক্ষত, একজিমা, কিডনির জটিলতা, ডিপথেরিয়া এবং পেটের ক্যান্সার নিরাময়ে কাজ করে। কাঁচা পেঁপে সবজি হিসাবে খাওয়া যায়। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফলটি মানব দেহে রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। পেঁপে চাষের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির উঠোনে দুটি থেকে চারটি গাছ লাগালে সারা বছর ফল পাওয়া যায়। পেঁপেতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং আয়রণ রয়েছে। কুমিল্লায়ও পেঁপে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। এছাড়া বাসার ছাদে ড্রামে ও ঘরের আঙিনায় চাষ করা হচ্ছে। পেঁপেকে কুুমিল্লার কোন এলাকায় কপিয়া,কোথাও হাইপ্পা বলে থাকে।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.ওবায়দুল্লাহ কায়সার বলেন, পেঁপে গাছ সাধারণ ৭/৮ফুট লম্বা হয়। বাঁচে এক বছর। ৪০ ফুট লম্বা গাছ এবং সাত বছর ধরে ফল দেওয়াকে তিনি ব্যতিক্রম বলে উল্লেখ করেন। তিনি ওই এলাকায় গিয়ে গাছটি দেখবেন বলেও জানান।