চার ঘণ্টা পর জানা গেল তিনি জীবিত
আমোদ প্রতিনিধি।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে অটোরিকশার ধাক্কায় আহত কৃষকলীগ নেতা আবদুর রহিম মজুমদার তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় মৃত্যু সংবাদের মাইকিং করা হয়। জানাযার সময়ও নির্ধারণ করা হয় এশার নামাজের পর। কবর খোঁড়াও শুরু হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে শোক সংবাদ। প্রায় চার ঘণ্টা পর যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক লিটন ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ করিম মজুমদারের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানা যায়, আবদুর রহিম মজুমদারের পালস পাওয়া গেছে। তিনি মারা যাননি।
আবদুর রহিম মজুমদার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব। তিনি উপজেলার নারায়ণকোট গ্রামের উজির আহমেদের ছেলে। এছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ করিম মজুমদারের ভাই।
বিকালে এম এ করিম মজুমদার জানান, আমরা হাসপাতালের সকল কাজ শেষ করে ভাইকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলি। এসময় আরেকটি অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগানো হলে তার পালস পাওয়া যায়। তারপর আবার হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন তার অক্সিজেন লেভেল ৯৯। তবে তার ব্রেইন কাজ করছে না। বর্তমানে সে লাইফ সাপোর্টে আছে। এর প্রায় চার ঘণ্টা পূর্বে তাকে ক্লিনিক্যালি ডেথ ঘোষণা করা হয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক লিটন বলেন, তিনি মারা যাননি এ সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা এলাকায় মাইকিং বন্ধ করে দিই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে নাঙ্গলকোটের জোড্ডা বাজারের উত্তরাংশের স’মিল সংলগ্ন স্থানে রাস্তার একপাশ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় পেছন দিক থেকে তাকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা মারে। ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তারপর অটোরিকশাটি তার বুকের ওপর দিয়ে চলে গেলে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ, তারপর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বারডেম ও পরে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করেন।