চুরির প্রতিবাদ করায় প্রবাসীর ওপর হামলা

inside post
প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে চুরির প্রতিবাদ করায়  প্রবাসীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  ৬ জানুয়ারি চুরির অভিযোগে স্থানীয়  মানিক মিয়ার ছেলে আরশাদুল ইসলাম, রহিমের ছেলে আরিফুল, গরীব হোসেনের ছেলে কালা চাঁন ও আলম শাহকে ধরে ফেলেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ৮ জানুয়ারি বিচার দেয়া হয় তাদের বাবা মায়ের কাছে। বিচার দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই লোকের বাড়িতে হামলার জন্য যান তারা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তা জানতে পেরে তা সমাধানের জন্য শালিসের প্রস্তাব দেন। বিচারের জন্য প্রবাসী সাইফ ভূইয়াকেও অনুরোধ করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার কিছু দিন পর ২১ জানুয়ারি স্থানীয় বংকার বাড়ির মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় সাইফ ভূইয়ার ওপর হামলা করে জখম করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এসময় আন্দিকুট ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন মোল্লা, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা মোক্তল বাহারসহ তার লোকজন অভিযুক্ত চোরের পক্ষ নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। এ সময় সাইফ ভূইয়াকে উদ্ধার করতে গেলে এলাকার সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা করে তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয় বাসিন্দা রত্না সরকার বলেন, এলাকার কোন ঘরে শান্তিতে থাকা যায় না। তাদের ইভটিজিংয়ের কারণে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারে না। তাদের কারণে স্থানীয়দের টিউবয়েল, গাছের নারিকেল কিছুই থাকে না। সব চুরি করে নিয়ে যায়। এসবের প্রতিবাদ করায় হামলা করেছে সাইফ ভূইয়া ভাইয়ের ওপর। আমরা তাদের বিচার চাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা হামলা করে উল্টো সাইফদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। এটা জুলুম ছাড়া কিছু নয়।
সাইফ ভূইয়ার মা মিনা রহমান বলেন,  চুরির প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে হামলা করেছে। আমার ছেলে প্রবাস থেকে এসেই হামলার শিকার হলো। আমি আমার ছেলের ওপর হামলার বিচার চাই।
হাশেম বাহার নামের একজন বলেন, এলাকার ছেলেদের মাদকাসক্ত করছেন এই আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা মাদক ব্যবসা করে। চুরি ডাকাতি করে। এলাকার কেউ নতুন বাড়ি কিনলে বা জায়গা কিনলে চাঁদাবাজি করে৷ তাদের জন্য এলাকার মানুষ অশান্তিতে আছে। আজ অপরাধের প্রতিবাদ করায় তারা হামলা করে সাইফসহ এলাকার বাসিন্দাদের জখম করেছে।
সাইফের বাবা রেজাউর রহমান বলেন, আমার ছেলে প্রবাসী৷ দীর্ঘ ১৬ বছর  আমরা আওয়ামী লীগের নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছি। অথচ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর থেকে তারা কোন উপায় পাচ্ছিল না। কদিন পালিয়ে থাকার পর তারা এলাকায় আবার আসে। তারা আবার চুরি, ডাকাতি, মাদক বিক্রি শুরু করে। ২১ জানুয়ারি আমার ছেলের ওপর হামলা করে। আমার ছেলে এখনও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে। আবার তারা আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে৷ আমার আত্মীয়  স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আরো পড়ুন