প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বর্ষায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে খাল পরিষ্কার পরিষ্কার অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকে পৌরসভা একালায় মিতল্লা খাল ও সর্পনোলা খালের ১৩টি স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়। শনিবার(৩১মে) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন ভাঙারি দোকানের ময়লায় বন্ধপ্রায় সর্পনোলা খাল পরিষ্কার করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, পৌরসভা এলাকায় সর্পনোলা খাল, মিতল্লা খাল দখল, দুষণে অনেকাংশে বিলীত হওয়ার পথে। যেখানে অধিকাংশ ময়লা-ই খাল সংলগ্ন ভাঙারি দোকানের। মিতল্লা খালের উপজেলা পরিষদ পাশ্ববর্তী অংশে, স্বর্পনোলা খালের চৌদ্দগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের অংশে একাধিক ভাঙ্গারি দোকানের ময়লার স্তুপে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। স্বর্পনোলা খালের গুরুত্বপূর্ণ বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন অংশে ময়লার স্তুপের কারণে গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতাল, ভূমি অফিসসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এবারের বর্ষায়ও জলাবদ্ধতা ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে হওয়া বৃষ্টিতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় পৌরসভার বেশ কয়েক জায়গায় সড়কে পানি উঠে।
এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্বর্পনোলা খাল, মিতল্লা খাল, বোয়ালজুড়ি খাল, কানাই নদী, কাকড়ি নদীসহ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার খালবিল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ জামাল হোসেন। দীর্ঘদিনের জনদাবির প্রেক্ষিতে গত প্রায় দুই মাস ধরে দখল-দুষনে ক্ষতিগ্রস্থ নদী-খাল পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ জামাল হোসেন। এসময় চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, সংবাদকর্মী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক, সচেতন পৌরবাসী সরেজমিনে উপস্থিত থেকে ইউএনওর কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের ইউএনও মোঃ জামাল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ নদী-খালে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। এমন ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান আমরা চিহ্নিত করে শুক্রবার সকাল থেকে পরিষ্কার অভিযান শুরু করি। অভিযানে আমরা দেখতে পাই, এসব বর্জ্যগুলো মানুষ স্বেচ্ছায় ফেলছে। দেখা যাচ্ছে অনেকাংশে গৃহস্থালীর বর্জ্য, ফ্রিজের ককশিট এবং ভাঙারি দোকানের ময়লা ফেলে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আমরা পৌরবাসীকে অনুরোধ করবো অভিযান পরবর্তী সময়ে তারা যাতে নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে এ জায়গাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে।
এসময় ভাঙ্গারি দোকানের ময়লার বিষয়ে তিনি বলেন, পৌরসভার খাল, নালা, ড্রেনের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্কেরাপের দোকানগুলো বসানো হয়েছে। পানি নিষ্কাষনের খালগুলোকে তারা ( ভাঙারি ব্যবসায়ী) ময়লার ভাগাড়ে রুপান্তর করেছে। আমরা ইতোপূর্বে তাদেরকে সতর্ক করেছি এবং এই মুহূর্তে তাদের ময়লাগুলো পরিষ্কার করছি। তারা যদি সতর্ক না হয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com