সানোয়ার হোসেন,চৌদ্দগ্রাম ।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রাতের অন্ধকারে মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাকের বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুই সড়কে একটি ব্রিজ ও দুইটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। এই ভাঙ্গা ব্রিজ-কালভার্টে নতুন আসা মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানের জন্য তা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে, রাতের বেলায় যেন এটা মৃত্যু ফাঁদ। তবে এসব সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, যানবাহনসহ জনসাধারণের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নালঘর-চৌমুহনী বাজার সড়ক ও সৈয়দপুর-নারায়নপুর সড়কে প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহনে করে শত শত মানুষসহসহ আশপাশে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা ব্রিজ-কালভার্টের ভাঙা অংশে দুর্ঘটনার শিকার হয়। দীর্ঘদিন ধরে নালঘর-চৌমুহনী বাজার সড়কের বসুয়ারা ও কৈয়নী এলাকায় দুটি কালভার্ট, সৈয়দপুর-নারায়নপুর সড়কের নারায়নপুর ব্রিজ ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগে নিচ্ছে না কেউ। ভাঙা ব্রিজ-কালভার্টে পড়ে প্রায় নারী-পুরুষ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বসুয়ারা গ্রামের মুদি দোকানি আনোয়ার হোসেন বলেন, রাতের অন্ধকারে মাটিভর্তি ড্রাম ট্রাকের কারণে গ্রামীণ সড়কের কালর্ভাটগুলোর কিছু অংশ ভেঙে যায়। এতে করে রাতের বেলায় অপরিচিত মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ভাঙা কালভার্টগুলো সংস্কারে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন ও আকতারুন নাহার বলেন, সন্ধ্যায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভাঙা কালভার্টে ব্যাটারি চালিত রিকশা পড়লে আমরা ছিটকে পড়ি। এতে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হই। দ্রুত ভাঙা কালভার্ট সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী অনেক কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের চলাচলে সমস্যা বিবেচনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত ভাঙা ব্রিজ ও কালভার্ট সংস্কার করা হবে।'
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com