সানোয়ার হোসেন,চৌদ্দগ্রাম।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ক্রেতা বিক্রেতার হাঁক-ডাকে সরগরম ছোট-বড় মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স ও ফুটপাত। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ শিশুর পদচারণায় মুখরিত বিপনি-বিতান গুলো। পরিবার ও প্রিয়জনের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ভিড় রয়েছে জুতা ও কসমেটিকস দোকানে। সকাল থেকে রাত ১১/১২ টা পর্যন্ত নারীদের উপস্থিতিও লক্ষ্যণীয়। বিক্রেতারা বলছেন, ৩১ মার্চ অথবা ১লা এপ্রিলে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। রমজানের শেষ দশ দিনে আরো জমজমাট হবে বেচাকেনা। ঈদের আগে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়বে বলে প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।
সরজমিন রবিবার(১৭মার্চ) চৌদ্দগ্রাম বাজারের সওদারগর মার্কেট, আবদুল গনি শপিং কমপ্লেক্স, ওহাব মার্কেট, মিজান মার্কেট, জন্তর আলী শপিং কমপ্লেক্স, মুন্সি প্লাজা, এম এ জলিল শপিং কমপ্লেক্স ও হাফেজ টাওয়ার ঘুরে দেখা গেছে বেচাকেনায় ব্যস্ত দোকানিরা। পছন্দের পোশাক কিনতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন ক্রেতারা।
আবদুল গনি শপিং কমপ্লেক্সের লাবণ্য ফ্যাশনে কেনাকাটা করতে আসা রেহনুমা বলেন, স্বামী প্রবাসে থাকেন। ঈদ যত গনিয়ে আসবে ভিড়ও বাড়বে। তাই আগেই পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। দোকানের স্বত্বাধিকারী সবুজ পাটোয়ারী বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রোজার প্রথম থেকে কেনাকাটা শুরু করেছেন ক্রেতারা। এবং বিক্রিও অন্যান্য রমজানে এই সময়ের তুলনায় বেশি।
মুন্সীবাড়ি সড়কে উপজেলার বড় পাঞ্জাবি বিক্রেতা আল আমিন পাঞ্জাবি হাউজের মাওলানা শামিম বলেন, এবার শুরু থেকে ভাল বিক্রয় হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে তা আরো বাড়বে ইনশাআল্লাহ। সওদাগর মার্কেটে গ্রামীণ সুজের পারভেজ বলেন, বিক্রয় হচ্ছে তবে গত ঈদের তুলনায় কম। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে আগের বছর গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় আরো বেশি ছিল।
আমানত কসমেটিকসের ফারাবী বলেন, নারীরাই আমাদের মূল ক্রেতা। তবে বিক্রয় হচ্ছে মোটামুটি। সামনের দিনগুলোতে বিক্রয় আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।
তবে জামা-কাপড়ের মতোন ভিড় নেই আতর ও টুপি দোকানে। দোকানিরা বলছেন ঈদের দুই তিন দিন আগে মূলত ক্রেতারা ভিড় করেন আতর ও টুপি কিনতে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com