অফিস রিপোর্টার॥
ছেঁড়া বস্তা আর ভাঙ্গা বালতিতে আদা চাষ হয়েছে। বাসার ছাদে রাখা হয়েছে এসব বস্তা ও বালতি। গাছ ধরে টান দিলে বের হয়ে আসছে আদার চাকা। একটি চাকার ওজন দুই থেকে তিন কেজি। এমন প্রক্রিয়ায় আদার চাষ দেখা গেছে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ছোট আলমপুরসহ আশ-পাশের গ্রামে। কম জায়গায় আদার ভালো ফলনে খুশি কৃষক।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,ছোট আলমপুর গ্রামের সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি। তার একতলা পাকা ভবন। ছাদটি খালি পড়ে আছে। সেখানে তিনি সিমেন্টর ছেঁড়া বস্তা আর ভাঙ্গা বালতিতে আদার চাষ করেছেন। দা দিয়ে একটু মাটি আলগা করে গাছ টান দিলে আদা বের হয়ে আসছে। ৩০টার মতো ভাঙ্গা বালতি আর ছেঁড়া বস্তায় তিনি আদার চাষ করেন। তিনি আদা নিজের পরিবারে ব্যবহারের সাথে অন্যত্রও বিক্রি করছেন। তার দেখাদেখি প্রতিবেশীরাও আদা চাষ করছেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,পাশের গ্রামে বস্তায় আদার চাষ করতে দেখেছি। তারপর নিজেও চাষের ইচ্ছে হয়। বিষয়টি স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসাম্মদ আমেনা খাতুনকে জানাই। তার থেকে পরামর্শ পেয়ে চাষ শুরু করি। বাড়ির আঙিনায় জায়গা কম,তাই ছাদ ব্যবহার করি। বাড়ির ভাঙ্গা বালতি ও ছেঁড়া বস্তা গুলোতে মাটি নিয়ে শুরু করি। আদা লাগানোর পরেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। বীজের টাকা না মার যায় এ আশংকা ছিলো। কয়েক মাস পরে আদা তুলতে গিয়ে তো অবাক। তেমন সার গোবর দিতে হয়নি। তবুও দারুণ ফলন হয়েছে। আগামীতে আরো বড় আকারে চাষ করবো।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসাম্মদ আমেনা খাতুন বলেন,আদা চাষে তেমন খরচ লাগে না। মাটির সাথে আদা পচাঁ গোবর দিয়ে চাষ করা যায়। প্রতি বস্তায় বা বালতিতে ৩/৪কেজি আদা পাওয়া যায়। জাহাঙ্গীর হোসেনের আদা চাষ দেখে এই গ্রামের আলী আজ্জম,সেলিম মিয়াসহ ৯জন চাষ করেছেন। আগামীতে কেউ কেউ ২০০টি বস্তাও চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন,আমরা আদা চাষে গুরুত্ব দিয়েছি। যাদের ভূমির স্বল্পতা আছে তারা বস্তায়ও আদা চাষ করতে পারেন। একজন কৃষক ১০টি বস্তায় আদা চাষ করলে তিনি নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রিও করতে পারবেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com