ইফা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ২৩ লাখ ১৯ হাজার ১৮০০ টাকা সংগ্রহ করে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কুমিল্লা। ২০১৯ সালে ৩১ লাখ ৬০ হাজার ৬০৬ টাকা সংগ্রহ করে আবারও দেশসেরা হয়। ২০২০ সালে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৯০ টাকা সংগ্রহ করে সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুমিল্লার উপপরিচালক সরকার সারোয়ার আলম বলেন, ‘কুমিল্লা প্রতি বছরই জাকাত আদায়ে শীর্ষে থাকে। জেলা জাকাত কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসকের সার্বিক নির্দেশনায় এ জাকাত আদায় করা হয়ে থাকে।’
সরকার সারোয়ার আলম আরও বলেন, ‘ইফার নিয়মানুযায়ী আদায় হওয়া জাকাত অর্থের ৭০ শতাংশ কুমিল্লা জেলার জন্য রাখা হয়। যা জাকাত সুনির্দিষ্ট খাতে এ অর্থ ব্যয় করা হয়। বাকি ৩০ শতাংশ সরকারি খাতে জমা দেওয়া হয়। এ টাকা এতিম শিশুদের শিক্ষার কাজে ব্যয় করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় চলতি বছরের চিত্র ভিন্ন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিকভাবে অনেকে ভালো নেই। তবু আমরা চেষ্টা করব। ১৭টি উপজেলায় ১৫ হাজারের অধিক মসজিদ রয়েছে। ইমামদের সহযোগিতা চেয়েছি। ইনশাআল্লাহ এবছরও কুমিল্লা জাকাত আদায়ে প্রথম হবে।’
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে এ বছর জাকাত আদায় করা হবে। কুমিল্লা বড় একটি জেলা। সবার অংশগ্রহণে আমরা জাকাত সংগ্রহ করতে পারব। ইতোমধ্যে সব উপজেলায় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com