প্রতিনিধি ।।
স্নাতক পাসের সনদ জাল করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামের এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদে ওই নেতার পাসের সন ১৯৮৯; তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে।
জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ উপজেলার বাতিসা বালিকা বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত হন বাতিসা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম। নিয়মানুযায়ী স্নাতক পাসের সনদ জমা দেন তিনি। তিনি যে সনদটি জমা দেন সেটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। নিউ মডেল কলেজ, ঢাকা থেকে ১৯৮৯ সালে পাস করেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার গ্রেজেট প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে।
সনদ জাল কি না জানতে চাইলে সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে প্রশ্ন করেন আমি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট জমা দিয়েছি সেটা আপনারা কীভাবে জানেন। সার্টিফিকেট জাল কি না এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি লাইন কেটে দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন, 'উনি আমার কাছে সনদ দিয়েছেন, আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছি। সনদ জাল কি না সেটা যাচাই করার দায়িত্ব আমার নয়।'
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামাল হোসেন জানান,বাতিসা মাধ্যমিক বালিকা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের ডিগ্রির সার্টিফিকেট জাল বলে আমি শুনেছি। তদন্ত করে সেটি প্রমাণিত হলে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com