আমেদ ডেস্ক।।
টাখনুর নিচে কাপড় পরা, যা শরিয়তে কঠিকভাবে নিষিদ্ধ। দুঃখের বিষয় হলো, বেশির ভাগ মানুষই এই কঠিন গুনাহে লিপ্ত। পার্থক্য হলো, কেউ গুনাহ জেনে লজ্জিত, কেউ জেনেও এটিকে পুরনো চিন্তাধারা ভাবছেন, আবার কেউ জানেনই না।
অথচ অতিমাত্রায় ফ্যাশন কখনো কখনো ধ্বংসের কারণও হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, অথবা আবুল কাসেম বলেছেন, এক ব্যক্তি আকর্ষণীয় জোড়া কাপড় পরিধান করে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে পথ চলছিল; হঠাৎ আল্লাহ তাকে মাটির নিচে ধসিয়ে দেন। কিয়ামত পর্যন্ত সে এভাবে ধসে যেতে থাকবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৮৯)
مَا اَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْاِزَارِ فِي النَّارِ- অর্থাৎ টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ জাহান্নামী।
আমাদের উঠতি বয়সী ছেলেদের মধ্যে এ ধরনের অভ্যাস খুব বেশি দেখা যায়। সাধারণত তারা বিভিন্ন সিনেমার হিরোদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমনটি করে। এ ব্যাপারে তাদের সচেতন করা মা-বাবা, ভাই-বোনসহ সব আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবেরই দায়িত্ব।
অনেকের ধারণা, শুধু নামাজের সময়ই টাখনুর ওপর কাপড় উঠাতে হয়, অন্য সময় টাখনুর নিচেও পরা যায়। এটাও ভুল ধারণা। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, ইজারের (লুঙ্গি) বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নিচে থাকবে, সেই অংশ জাহান্নামে যাবে। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৮৭)
আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির সঙ্গে কথা তো বলবেনই না বরং তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। এমনকি তিনি তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না বরং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? তবে এরা তো ধ্বংশ, তাদের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা তিনবার বলেছেন। তারা হলো-
১) যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরে।
২) যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম খেয়ে ব্যাবসার পণ্য বিক্রি করে।
৩) যে ব্যক্তি কারো উপকার করে আবার খোটা দেয়। (মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্)।
হজরত জাবের ইবনে সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পড়ার ব্যাপারে সাবধান হও। কারণ, তা অহংকারের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ অহংকার করাকে পছন্দ করেন না। (আবু দাউদ)
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com