অফিস রিপোর্টার।।
সারাদেশের মতো কুমিল্লাতেও দেওয়া শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন (টিকা)। রোববার জেলায় সর্বপ্রথম টিকা নেন জেলা প্রশাসক মো.আবুল ফজল মীর। একই সময়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্থাপিত করোনা ভ্যাকসিনেশন বুথে টিকা নেন তাঁর সহধর্মিনী শেখ মনিরা নাজনীনও। এরপর পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.আবদুস ছালামসহ অন্যান্যরা টিকা গ্রহণ করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো.নিয়াতুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মানুষ টিকা নিতে এসেছেন। টিকা (ভ্যাকসিন) নিয়ে যে গুজব ছিলো তা এখন হাওয়ায় উড়ে গেছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ছাড়াও একই সাথে কুমিল্লা সিএমএইচ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালহ প্রতিটি উপজেলায় টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কুমিল্লার জন্য পাওয়া গেছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা। ১ লাখ ৪৪ হাজার লোককে দুই ডোজের মাধ্যমে এই টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধনকারীরা এসএমএস পেলেই টিকা দিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
টিকা গ্রহণের পর জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, জেলায় প্রথম টিকা আমি নিজেই নিয়েছি। টিকা গ্রহণে ভয় বা আতঙ্কের কিছু নেই। সাধারণ ইনজেকশনের মতোই টিকা গ্রহণ মনে হয়েছে। টিকা নিয়ে আমি এবং পুলিশ সুপার ১০-১৫ মিনিট এক জায়গায় বসে ছিলাম। কোন ধরনের ব্যথা অনুভব হয়নি। আমার স্ত্রীও টিকা নিয়ে একই কথা বলেছেন। কুমিল্লার মানুষকে বলবো- আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে পর্যায়ক্রমে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন, সুস্থ্য থাকুন।
এদিকে কুমিল্লা সেনানিবাসে প্রথম করোনা টিকা নিয়েছেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো.জাহাঙ্গীর হারুন। রোববার কুমিল্লা সেনানিবাসের অলিপুর সৈনিক ক্লাবে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com