ডাকাতির পেছনে বিনিয়োগ করতেন তিনি!

 

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লায় ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একজন তিনি ডাকাতির কাজে অর্থ বিনিয়োগ করতেন। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি,যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও মালামাল ক্রয় করতেন। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) এম.তানভীর আহমেদ।

বুধবার গ্রেফতার ডাকাতদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রোকেয়া আক্তার তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।

জানা যায়, গত ৭ জুলাই রাতে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের বাসিন্দা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রেজাউল করিমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় ডাকাতদল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একাধিক মোবাইল ফোনসেট লুটে নেয়। এ ঘটনায় পরদিন ডা. রেজাউল করিম বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে দেবিদ্বার, চান্দিনা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এলআইসি টিম অভিযান শুরু করে। ঘটনার ১২ দিন পর গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ডাকাতরা হলো কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার নুরমানিকচর গ্রামের মো. ফয়েজ, একই উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. রফিক, ইন্দ্রাবতী গ্রামের মো. সোহেল, ছোটনা গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন। পরে গ্রেফতার ডাকাতদের তথ্য অনুসারে ডাকাতির পেছনে বিনিয়োগকারী রিপন চন্দ্র সাহাকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির কাজে বিনিয়োগকারী রিপনের বাসায় তল্লাশি করে লুণ্ঠিত প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার রিপন চন্দ্র পুলিশকে জানান, তিনি ডাকাতির পেছনে অর্থ ব্যয় করেন। ডাকাতরা যখন ডাকাতি শেষ করে তখন তিনি লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয় করে থাকেন। রেজাউলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মালামালগুলো তিনি ৫ লাখ টাকায় কিনে নেন।