ডিসির মুখে প্রযুক্তির গল্প শুনলো পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসানের মুখে প্রযুক্তির নির্ভর উন্নত বাংলাদেশের গল্প শুনলো কুমিল্লা নগরীর ১০টি স্কুলের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালে নগরীর নওয়াব ফয়জুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এই গল্পের আসর বসে। তার কথা শুনে নানা প্রশ্ন ছুঁড়তে থাকেন উৎসুক শিক্ষার্থীরা। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: প্রেক্ষিত কুমিল্লা’ শীর্ষক কর্মশালায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। ডিসি মজার ছলে প্রশ্ন করেন, সব কাজ রোবট করে ফেললে মানুষ তখন কি করবে। তখন কোন শিক্ষার্থী উত্তর দেন তাদের দিয়ে বিপদজনক কাজ করাবে। নিজেরা সহজ কাজ করবে। কেউ বলেন, রোবট দিয়ে আম পাড়াবে! বাথরুম ওয়াশ করাবে। কিংবা বিদ্যুত লাইন মেরামতের মতো বিপদজনক কাজ করাবে। কর্মশালায় আরো কথা বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনুছ ফারুকী,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মান্নান ও কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৪১সালের উন্নত বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ উদ্ভাবক সৃষ্টির লক্ষে আমরা কাজ করছি। সে নিরিখে কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাব গঠন করা হয়েছে। নগরীর পাশাপাশি উপজেলায়ও এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই শিক্ষার্থীরাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মহোদয়। উপজেলায়ও কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাবের উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবে।

কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার বলেন, অনেক শিক্ষার্থী প্রযুক্তির অপব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে। এরকম কার্যকরী প্রশিক্ষণ তাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা সময়টা কাজে লাগাতে পারবে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান বলেন, জেলা প্রশাসনের এটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। যা শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে। জেলা প্রশাসনের মতো আমরাও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেবো।