মাকছুদুর রহমান।।
কুমিল্লার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর ৩ নং ওয়ার্ড। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন পম্চিম পাশের এলাকা। এখানের একটি ড্রেনের ওপর জনগণের পারাপারের জন্য রয়েছে ৫০ -৬০ ফিটের বেশি লম্বর বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো। সাঁকোর দুই পাশে স্ল্যাব থাকলেও বাঁশের তৈরি সাঁকোটি অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে সব বয়সী মানুষ। সাঁকো পারাপারে ঝুঁকি থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের পারাপার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে। গর্ভবতী মায়েদের জরুরি হাসপাতালে নেওয়ার জন্য দীর্ঘ পথ ঘুরে সড়কে উঠতে হয়। অর্ধশত পরিবারের লোকজনের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশুদের।
অনেক সময় মুসল্লিরা ঠিক সময় নামাজ পড়তে যেতে পারেন না। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হয় ভোগান্তিতে। শীতের শিশির আর বৃষ্টির পানিতে সাঁকোর বাঁশ ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে সাঁকো পারাপারে ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। আবার অনেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
দৌলতপুর এলাকার মো: মাহবুবুল আলম বলেন, বাঁশের সাঁকো পারাপারে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দ্রুত অপসারণ করে স্ল্যাব করে দেওয়ার দাবি জানাই।
কালিকাপুর গ্রামের সাহিনা বেগম বলেন, সাঁকো দিয়ে আমাদের এলাকার মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাজারে যেতেও অসুবিধা হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কাজী ফখরুল ইসলাম রুবেল বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো আছে। এতে আমার এলাকার মানুষের অনেক অসুবিধা হয়। প্রচেষ্টা চলছে, যত দ্রুত সম্ভব স্ল্যাব নির্মাণ করা হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com