ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং উৎসব
“রিয়েল স্টোরিজ বাই রিয়েল পিপল” – এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজন হতে যাচ্ছে ‘কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং উৎসব’। এই উৎসবে আগ্রহী যে কেউ বিনা খরচে নিজেদের তৈরি ভিজ্যুয়াল গল্প পাঠিয়ে অংশ নিতে পারবেন। এই উৎসবের মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। তবে অংশগ্রহণকারী ৩০ মার্চ থেকে তাদের তৈরি করা গল্প উৎসবের জন্য পাঠাতে পারবেন এবং তা চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ধরণের ভিজ্যুয়াল গল্প নিয়ে উৎসবের আয়োজন করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ’ বিভাগ। কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং উৎসবের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে থাকা বা আধুনিক সুবিধাবঞ্চিত সেইসব আগ্রহী গল্পকাররা তাদের নির্মিত ছোট ছোট গল্প প্রকাশ্যে আনার সুযোগ পাবেন যারা দেশের মূলধারার মিডিয়ায় গল্প প্রকাশের সুযোগ পাননা। এটি মূলত তরুণদের আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষকরে মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল গল্প তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করবে।
তরুণ এবং আগ্রহীরা বিভিন্ন ধরণের ভিজ্যুয়াল গল্প পাঠাতে পারবেন। উৎসবের ক্যাটাগরিতে রয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট ক্যাটাগরি, ডিআইইউ বেস্ট কমিউনিটি স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরি, ওয়ান মিনিট ক্যাটাগরি, এবং জার্নালিজম ক্যাটাগরি।
এ প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব আফতাব হোসেইন জানান, “এই উৎসবের এর মূল উদ্দেশ্য আমাদের অংশীজনদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সমাজের নানা শ্রেনীর মানুষের গল্পকে সামনে নিয়ে আসার সুযোগ করে দেওয়া; যার মধ্য দিয়ে আমরা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ভুমিকা রাখতে পারি।”
উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল খান বলেন, “বাংলাদেশে ‘কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং’ ধারণাটি একেবারে নতুন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে আমাদের কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের একেবারে নিজেদের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত ঘটনাবলী নিয়ে নির্মিত হতে পারে ছোট ছোট ভিজ্যুয়াল গল্প। উৎসবের মাধ্যমে আমরা উপেক্ষিত গল্পকারদের গল্প তুলে ধরার সুযোগ করে দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য সমাজে মানুষের চিন্তাশক্তি, সহানুভূতিশীলতা, কমিউনিটি উদ্যোগকে আরও ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করা।”