আবু সুফিয়ান রাসেল।।
সংগঠনের সূত্রমতে, গতবছর ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিবেক। শুরুতে করোনা সচেতনতা, মাস্ক বিতরণ, করোনা রোগীদের বাসা বাড়িতে খাদ্য, ঔষধ ও ফলমূল পৌঁছে দেন সংগঠনের সদস্যরা। একই বছর ১৮ মে করোনায় মৃত্যু একজন ব্যাংক কর্মকর্তার জানাযা ও দাফন করে বিবেক সংগঠন। ১১ সদস্যের টিম এ পর্যন্ত ৩০৫ জনের লাশ দাফন করেছে।
নগরীর বাসিন্দা আবু রায়হান জানান, বিবেক এমন একটি সময় দাফন কার্যক্রম শুরু করেছে, যখন করোনায় মৃত শব্দটি শুনলে স্বজনরা পালিয়ে যেতো। বাবার জানাযায় ছেলে অংশ নেয়নি,বিবেক সদস্য ছাড়া কেউ গোসল, জানাযা ও দাফনে অংশ নেননি, তা আমি নিজে দেখেছি। তারা দিনরাত এ সেবা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রয়েছে। টিমের ৩০০ তম দাফন কার্যক্রম ছিলো আমার একজন বড় ভাইয়ের। তাদের আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ।
এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসাইন বলেন, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মৃত মুসলিম ব্যক্তির জানাযায় ঈমান সহকারে ও ছাওয়াবের আশায় শরিক হয় এবং জানাযা ও দাফন পর্যন্ত থাকে, ওই ব্যক্তি দুই কিরাত নেকি পাবে। আর প্রতি কিরাত হচ্ছে ওহুদ পাহাড়ের সমান। আর জানাযা পড়ে দাফনের পূর্বে ফিরে যাবে সে এক কিরাত নেকি নিয়ে ফিরবে। মানবিক সংগঠন বিবেক জানাযা ও দাফন কার্যক্রমে যে উদাহরণ তৈরি করেছে তা আল্লাহ যথাযথ বিনিময় প্রদান করবেন।
মানবিক সংগঠন বিবেক এর প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, করোনা মহামারিতে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। যে কাজটি মরহুমের স্বজন সন্তানরা করতো, আমরাই তাদের স্বজন আমরাই তাদের সন্তান হয়ে করছি। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৩০৫ জন মানুষকে আমরা সম্মানের সাথে শেষ বিদায় দিয়েছি। যার মধ্যে মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছেন। দাফন কার্যক্রমের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের রোগীর জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন প্রদান ও ঔষধ দিয়ে থাকি। এছাড়াও বেওয়ারিশ বা খুব দরিদ্র পরিবার হলে কাফনের কাপড়সহ দাফনের যাবতীয় খরচ বিবেক বহন করে থাকে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com