দম্পতির ভিডিও প্রকাশের হুমকি যুবদল নেতার, থানায় অভিযোগ

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক যুবদল নেতা কর্তৃক ছিনতাই, মারধর ও দম্পতির ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগে ভুক্তভোগী দম্পতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রধান অভিযুক্ত মোঃ রানা সদ্য ঘোষিত বাতিসা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোমবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার আটগ্রাম-শরিফপুর সড়ক দিয়ে ভুক্তভোগী গত ২০ জুলাই উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের যুগিরহাট গ্রামের শাহজাহান মজুমদারের ছেলে রাইহান নাঙ্গলকোটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে ডলবা-পাটানন্দী মসজিদের সামনে আবদুর সাত্তার চুট্টু মিয়ার ছেলে যুবদল নেতা মো: রানার নেতৃত্বে গতিরোধ করে। এ সময় জোরপূর্বক সিএনজিটি অটোরিকশাকে উল্টোদিকে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে একটি পরিত্যক্ত মুরগির খামারে নিয়ে যায়। সেখানে মারধর করে সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এসময় রাত তিনটায় তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ২৫ ও ২৬ জুলাই মোবাইল, টাকা ফেরত চাইলে তা দিবে বলে পরিত্যক্ত মুরগির খামারে নিয়ে নির্যাতন করে। গলায় চুরি ধরে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। না দিলে মোবাইল ফোনে থাকা স্বামী স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ছড়িয়ে দিবে বলে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। ওই সময় বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার শর্তে ছাড়া পান।
এর দুই দিন পর অজ্ঞাত নাম্বার থেকে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল করে যুবদল নেতা রানা হুমকি দেয় দ্রুত ১ লক্ষ টাকা না দিলে স্বামী স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি ভিডিও ছেড়ে দিবে।
এর সপ্তাহখানেক পরে যুবদল নেতা রানার বাড়িতে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে বিস্তারিত ঘটনা তার পরিবারকে জানালে তার বাবা ও ছোট ভাই রাকিব দায়িত্ব নিয়ে মোবাইল ফোন ফেরত দিবে বলে জানায়। সেদিন কেন তার বাড়িতে গিয়েছে এই নিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এছাড়াও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিযুক্ত যুবদল নেতা কিশোর গ্যাং লিডার। তার বিরুদ্ধে মারধর হানাহানি চাঁদা দাবিসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। থানায় রয়েছে মারধর ও চাঁদাবাজির ৪ টি মামলাসহ একাধিক মামলা।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, মোঃ রানা ইউনিয়ন যুবদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি, তবে তার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করছে না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’