প্রতিনিধি।।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলোচনায় দেশব্যাপী ছিলো কুমিল্লার হাতে গুণা কয়েকটি ঘটনা। তার মধ্যে অন্যতম ছিল কুমিল্লার-৪ (দেবিদ্বার) নৌকার প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নিয়ন্ত্রিত বাড়ির পাশের কেন্দ্র পদ্মকোটে নৌকায় সিল মারার ঘটনা। সিল মারা ব্যালটের ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের অবৈধ ভোটের খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। দুইবারের এমপির কেন্দ্র নিয়ে এমন বিতর্কে নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনায় এক প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানা গেছে, সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দেবিদ্বার উপজেলার গুণাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের বনকোট এলাকার বাসিন্দা। তার বাড়ির অদূরের বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র আছে। যেগুলোর সবকটিতেই অতীতের সকল নির্বাচনে বিপুল ভোট কাটার অভিযোগ উঠে। তার বাড়ির পাশের বনকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পদ্মকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুণাইঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুণাইঘর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে ভোট কারচুপির প্রমাণ বহণ করে নির্বাচনের ফলফলের শিটগুলো।

ফলাফলের শিটে দেখা যায়, এমপির বাড়ির কাছের কেন্দ্র বনকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪৭৫ ভোটারের মধ্যে নৌকা একাই পেয়েছে ১২৩৭ ভোট। এই কেন্দ্রের ভোটার ও এমপি রাজী ফখরুলের চাচা জাল ভোট দেয়ার ঘটনা তিনি নিজেই ভিডিওতে প্রকাশ করেন। যা দেশব্যাপী ভাইরাল। এই কেন্দ্রে জয়ী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন মাত্র ২ ভোট। যা এই উপজেলার সকল কেন্দ্রের সবচেয়ে কম পাওয়া ভোট।

গুণাইঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুণাইঘর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও অতীতের নির্বাচন গুলিতেও ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। উপযুক্ত প্রমাণের দোহাই দিয়ে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এই আসনে মো. আবুল কালাম আজাদ ঈগল প্রতীকে ৯৬ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পেয়েছেন ৮১ হাজার ২৫৭ ভোট।