প্রত্যক্ষদর্শী, হামলার শিকার ব্যক্তি ও তার স্বজনরা জানান, আহত মোঃ সাগরের চাচা হৃদয় মিয়া চান্দিনা বাজারে কনফেকশনারির ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে হৃদয়ের দোকানের পাশে একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে ঘুরাঘুরি করতে দেখে। ওই সময় হৃদয় তাদের কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে, উত্তরে তারা কিছু লাগবেনা বলে জানায়। তখন হৃদয় তাদের ওই খানে অযথা ঘুরাঘুরি করতে নিষেধ করেন। তারা কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকারের ভাগিনা অনিককে ফোন করে নিয়ে যায়। অনিক গিয়ে দোকানের মধ্যে হৃদয়কে মারধর করে। সন্ধ্যায় চান্দিনা বাস স্টেশনে অনিকের সাথে মোঃ সাগরের দেখা হয়। ওই সময় সাগর তার চাচাকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার ও তার দলবল নিয়ে সাগরকে তাকে কুপিয়ে আহত করে।  স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সাগরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত সাগর দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে।

আহত সাগরের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলেকে লিটন সরকারের নেতৃত্বে মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখন করে। লিটন সরকার ছাড়াও হামলায় অংশ নেন  দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ কাউছার আহমেদ, জাফরাবাদ গ্রামের মৃত মিন্টু শীলের ছেলে যাদব শীল, বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ রবিউল্লাহ, জাফরাবাদ মনিপুরের এলাহী বক্সের ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া, বাগুর গ্রামের এইচডু মিয়ার ছেলে মোঃ শামীম, ভরাট গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান ড্রাইভারের ছেলে মোঃ আরিফ, খাদঘর গ্রামের মৃত মোসলে উদ্দিনের ছেলে মহসিন উদ্দিন পলাশসহ আরো অজ্ঞাত ১৫ জন। এ বিষয়ে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।