দেবিদ্বারে আওয়ামী লীগে পদ বঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন

অফিস রিপোর্ট।
দেবিদ্বার আওয়ামী লীগে ৬৬ জন নিস্ক্রিয় ও অযোগ্য ব্যক্তি রয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার পৌর কমিশনার মো. মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা আত্মীয়করণ ও পারিবারিক হিসেবে মামা-ভাগ্নে, পিতা-পুত্র, চাচাতো ভাই, জেঠাতো ভাইসহ ১৫ জন, ঢাকা প্রবাসী ৪৫ জন ও কুমিল্লা শহর প্রবাসী ৬ জনসহ মোট ৬৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন তারা।
আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তালিকায় থাকা নেতাকর্মীদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে যোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কুল্লিা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বড় ভাই অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন বর্তমান পুর্ণাঙ্গ কমিটির উপদেষ্টা সদস্য মোস্তাক আহমেদের এনডিপির সদস্য থাকার প্রমাণ রয়েছে বলেও তারা দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেবিদ্বার পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমিশনার মুজিবুর রহমান বলেন, কমিটির বিষয়ে তূণমূল নেতাকর্মীরা নাখোশ ছিলো। তবে আমাদের ক্ষোভ ও যৌক্তিক দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ঘোষিত কমিটি থেকে নিস্ক্রিয় ও অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্যদের স্থান করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমীন ওই কমিটির সকল কার্য্ক্রম স্থগিত করেন। সাতদিনের মধ্যে সবার সাথে সমন্বয়ের পর কমিটি করার নির্দেশ করাকেই আমাদের প্রতিবাদ আন্দোলন যে যৌক্তিক তা-ই প্রমাণ করেছেন। আমাকে যদি কমিটিতে না-ও রাখা হয়, তাহলে এতে কোনও দুঃখ নেই। তবে বিতর্কিত ও অযোগ্যরা যখন কমিটিতে প্রবেশ করবে তখন তারা সংগঠনকে বিতর্কিত করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কেএম কামরুজ্জামান মাসুদ, দেবিদ্বার এসএ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান মুন্সী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সরকার, সাবেক সহ সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, পৌর আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক কাজী মনিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইয়াকুব উল্লাহ তুষার, মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ রোশন আলী মাস্টার বলেন, কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে সবাই দলের ত্যাগী এবং স্বচ্ছ। নির্বাচন আসলে দিনে নৌকা-রাতে ধানের শীষ মার্কা এবং মাদকাসক্ত লোকদের কমিটিতে রাখা হয়নি।